ফ্রেঞ্চ ওপেনে রেকর্ড ১৯ বারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়েছেন নোভাক জোকোভিচ। ক্যামেরন নরির বিপক্ষে সরাসরি সেটে জিতেছেন তিনি। নরিকে হারিয়েছেন ৬-২, ৬-৩, ৬-২ গেমে।
এই জয় দিয়ে নতুন এক উচ্চতায় উঠেছেন জোকোভিচ। ২৪ গ্র্যান্ড স্লামজয়ী এই তারকা ফ্রেঞ্চ ওপেনে জয়ের সেঞ্চুরি করেছেন। দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে রোল্যা গ্যাঁরোতে এই কীর্তি গড়েছেন সার্বিয়ান তারকা। তার আগে এই কীর্তি গড়েছেন রাফায়েল নাদাল। ১১২ জয়ে শীর্ষে আছেন নাদাল।
এদিকে টেনিস ইতিহাসে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে একক গ্র্যান্ড স্লামে শততম জয় পেয়েছেন জোকোভিচ। নাদাল-জোকোভিচ ফ্রেঞ্চ ওপেনে শততম জয় পেলেও টেনিসের আরেক কিংবদন্তি রজার ফেদেরার পেয়েছেন ভিন্ন দুটি গ্র্যান্ড স্লামে।
ম্যাচ জয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জোকোভিচ বলেছেন, ‘‘ভালো লাগছে। আমি জানি আরও ভালো খেলতে পারি। এটা অবশ্য দারুণ ব্যাপার। কিন্তু ১০১ নম্বর জয় পেলে সেটা আরও ভালো হবে। আমি নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। কিন্তু আমার ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।’’
ফেদেরারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ও উইম্বলডন ওপেনে শততম জয় পাওয়াটা অবশ্য এখন সময়ের ব্যাপার জোকোভিচের। কেননা বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তার জয় ৯৯টি। শততম জয়টি পেতে অবশ্য আগামী বছর অপেক্ষা করতে হবে ৩৮ বছর বয়সী তারকাকে। তবে এ বছরই উইম্বলডনে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার সুযোগ পাচ্ছেন জোকোভিচ।
সেমিফাইনালে তার প্রতিপক্ষ আলেক্সান্ডা জভেরেভ। তার বিপক্ষে জোকোভিচের জয়ের রেকর্ড ৮-৫। লড়াইটা জম্পেশ হবে সেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছর এই ফ্রান্সেই অলিম্পিকের সোনা জিতেছিলেন জকোভিচ। তবে রেকর্ড ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী তারকা গত বছর কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারেননি।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’