আকিজ শিপিং ও আইএফসির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
Published: 3rd, June 2025 GMT
আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী আকিজ রিসোর্সের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আকিজ শিপিং। প্রস্তাবিত এই অর্থায়নের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮ কোটি মার্কিন ডলার, যা আকিজ শিপিংয়ের পরিবহন বহর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে ব্যবহৃত হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আকিজ হাউসে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই অংশীদারত্ব বাংলাদেশের নৌপরিবহন অবকাঠামোকে শক্তিশালী করা, বিদেশি জাহাজনির্ভরতা কমানো এবং পরিবেশবান্ধব শিপিং কার্যক্রম ত্বরান্বিত করবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আকিজ রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা আইএফসির সঙ্গে অংশীদারত্ব আকিজ রিসোর্সের জন্য শুধু একটি কৌশলগত পদক্ষেপ নয়, বরং একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি। এই অংশীদারত্ব আমাদের জাতীয় শিপিং সক্ষমতা বাড়াতে এবং টেকসই বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী আমাদের অগ্রযাত্রাকে আরও গতিশীল করতে সহায়তা করবে। আমরা দায়িত্বশীল প্রবৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বিশ্বব্যাংকের অঙ্গসংস্থা আইএফসির উদীয়মান বাজারে বেসরকারি খাতে টেকসই বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে দারিদ্র্য হ্রাস এবং জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে। আকিজ শিপিংয়ের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক খাতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির আইএফসি কৌশলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
আইএফসির ইনফ্রাস্ট্রাকচার খাতের আঞ্চলিক ইন্ডাস্ট্রি ম্যানেজার এডোরে অনোমাকপোমে বলেন, ‘বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাতে টেকসই অগ্রগতির জন্য আকিজ শিপিংয়ের এ উদ্যোগে অংশ নিতে পেরে আমরা গর্বিত। উদ্যোগটি দেশীয় লজিস্টিকস অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং পরিবহন খাতে আরও কার্যকর ও টেকসই নৌপরিবহনব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।’
অর্থায়নের পাশাপাশি আইএফসি আকিজকে টেকসইত্ব লক্ষ্য অর্জনে সহায়তার জন্য একটি সহযোগিতা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের শিপিং খাতের ব্যাপক বাজার ও প্রযুক্তিগত মূল্যায়ন, আকিজ শিপিংয়ের সম্পূর্ণ নৌজাহাজ বহরের জন্য একটি ডিকার্বোনাইজেশন রোডম্যাপ তৈরিতে সহায়তা এবং কোম্পানির পরিবেশগত, সামাজিক ও করপোরেট শাসন অনুশীলন উন্নয়নে সমর্থন।
বর্তমানে আকিজ শিপিং ১০টি ওশানগোয়িং ড্রাই বাল্ক ভেসেল এবং ৪০টি লাইটার জাহাজ পরিচালনা করছে, যা ডেডওয়েট টনেজ (ডিডব্লিউটি) অনুসারে বাংলাদেশের বাজারে প্রায় ১৪ শতাংশ অংশীদারত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। এই কার্যক্রম এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন বাণিজ্যিক রুটে বিস্তৃত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইএফস র পর বহন র জন য ট কসই
এছাড়াও পড়ুন:
দাসত্বের সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি: শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিম যে দাসত্বের সংস্কৃতি চালু করেছিল আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দলীয় লেজুরবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”
বুধবার (৩০ জুলাই) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১, সেমিস্টার-১ এ ভর্তিকৃত নবীণ শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “জুলাই ২৪ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে পুনর্জন্ম লাভ করেছি। গত ১৭ বছর আমরা আমাদের নাগরিকত্ব সপে দিয়েছিলাম একটি ফ্যাসিবাদ সরকারের কাছে। যারা পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে দাসত্বের চুক্তি করেছিল। আমরা কখনো ভাবিনি এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে।”
আরো পড়ুন:
কৃষি উপদেষ্টা-চীনা রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে জিবুতির সমর্থন চাইল বাংলাদেশ
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “খুন, আয়নাঘর, বিচারহীনতার মধ্য দিয়ে চলছিল এই বাংলাদেশ। এর থেকে পরিত্রাণ তোমরাই দিয়েছো। ছাত্র-জনতার এই অর্জনকে ম্লান হতে দেওয়া যাবে না।”
“নতুন বাংলাদেশে তোমরা নিজেদেরকে আপন স্বকীয়তায় উপস্থাপন করবে, রাজনৈতিক দলগুলো কিভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা তোমরা নির্ধারন করবে। তোমাদের ধৈর্যশীল ও রুচিশীলতার পাশাপাশি উন্নত মনের বিবেকবান ও সুন্দর মনের মানুষের পরিচয় দিতে হবে”, যোগ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, “পেশিশক্তির ব্যবহার রোধ করতে হবে। সহনশীলতা ও সহমর্মিতার সংস্কৃতি চালু করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সহশিক্ষার কার্যক্রমে গুরুত্বারোপের পাশাপাশি সমাজে পিছিয়ে পরাদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে হবে।”
ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “নবীন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত করে মেলে ধরবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল নলেজ বাড়ানোর জন্য বিশ্ব আঙ্গিকে লাইব্রেরিকে উপযুক্ত করতে হবে, যা গবেষণার কাজকে আরো ত্বরান্বিত করবে।”
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ.টি.এম. মাহবুব-ই-ইলাহী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাওছার হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ, রেজিস্ট্রার (অ.দা) প্রফেসর ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলা।
ঢাকা/নূর/মাসুদ