নিজ বাড়ির সামনে হলিউড অভিনেতাকে গুলি করে হত্যা
Published: 3rd, June 2025 GMT
প্রখ্যাত হলিউড অভিনেতা জোনাথন জস (৫৯) নিজ বাড়ির সামনে গুলিতে নিহত হয়েছেন। রোববার (১ জুন) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সান আন্তোনিও শহরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
বিনোদনধর্মী সংবাদমাধ্যম ভ্যারাইটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে দক্ষিণ সান আন্তোনিও এলাকায় জোনাথন জসের বাড়ির সামনেই এক বন্দুকধারী তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার আগে জস তাঁর এক প্রতিবেশীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তর্কের একপর্যায়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একজন আচমকা গাড়ি থেকে নেমে জসকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জোনাথনকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে হত্যার পেছনে কী কারণ ছিল, তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি তদন্তকারী দল।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে অভিনয় জীবন শুরু করেন জোনাথন জস। সিটকম ঘরানার ‘কিং অব দ্য হিল’ এবং ‘পার্কস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন’ সিরিজে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এছাড়াও ‘৮ সেকেন্ডস’, ‘টেক্সাস’ ও ‘ট্রু গ্রিট’-এর মতো সিনেমাতেও তিনি অভিনয় করেছেন।
শুধু অভিনয়ই নয়, সংগীতশিল্পী হিসেবেও তাঁর পরিচিতি ছিল। ভক্তদের হৃদয়ে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’