২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করল মার্কেন্টাইল ব্যাংক
Published: 3rd, June 2025 GMT
মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি সোমবার ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। ‘বাংলার ব্যাংক’ খ্যাত মার্কেন্টাইল ব্যাংক ১৯৯৯ সালের ২ জুন যাত্রা শুরু করে। এ উপলক্ষে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল হক পরিচালকবৃন্দ ও ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের সাথে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আকরাম হোসেন (হুমায়ুন) ও মো.                
      
				
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ মো. জাকির হোসাইন, শামীম আহম্মদ, অসীম কুমার সাহা ও ড. মো. জাহিদ হোসেন, সিএফও ড. তাপস চন্দ্র পাল, এসইভিপিবৃন্দ শাহ মো. সোহেল খুরশীদ, মোহাম্মদ ইকবাল রেজওয়ান ও মো. আব্দুল হালিমসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশব্যপী ব্যাংকের সকল শাখা, উপশাখা ও প্রধান কার্যালয়ের সকল বিভাগে কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করা হয় এবং গ্রাহকদের মিষ্টিমুখ করানো হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল হক তাঁর বক্তব্যে ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা, শাখা, আমানত সংগ্রহসহ ব্যাংকের সামগ্রীক চিত্র তুলে ধরে বলেন, গত ২৬ বছরের কঠোর পরিশ্রমে মার্কেন্টাইল ব্যাংক একটি টেকসই ও প্রথম সারির ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি ভবিষ্যতেও করপোরেট সুশাসনকে গুরুত্ব দিয়ে গ্রাহকবান্ধব ব্যাংকিং সেবার প্রতিশ্রুতি দেন।
সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউল হাসান বলেন, চলতি বছর খেলাপি ঋণ আদায়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, নতুন ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে কৃষি ও এসএমই খাতকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে দেশের প্রত্যন্ত জনপদে শাখা-উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট স্থাপন অব্যাহত থাকবে। গ্রাহকদের চাহিদার বাস্তবায়নে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত করারও অঙ্গীকার করেন তিনি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক