পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করতে গিয়ে ইসলামাবাদের পাল্টা হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছে ভারত। মঙ্গলবার ভারতের ডিফেন্স চিফ অব স্টাফ অনিল চৌহান বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে অনিল জানিয়েছেন, অভিযানে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং তার ফল অনেক বেশি জরুরি। 

কয়েক আগে সিঙ্গাপুরে একটি সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কাছে জেনারেল চৌহান প্রথম বার মেনে নিয়েছিলেন যে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ বিমান ধ্বংস হয়েছে ভারতের। তার পরে দেশে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছিল মোদি সরকার। মনে করা হচ্ছে, এই আবহেই মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, অভিযানে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জরুরি নয়। তার পরিণামই জরুরি।

জেনারেল চৌহান বলেছেন, “ক্ষয়ক্ষতি গুরুত্বপূর্ণ নয়, পরিণাম গুরুত্বপূর্ণ। এর আগের সাক্ষাৎকারেও আমি বলেছি সে কথা।”

২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। এ ঘটনার ১৫ দিন পরে ৭ মে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। ওই দিনই পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতের অন্তত তিনটি যুদ্ধবিমান ও অসংখ্য ড্রো্রন ধ্বংস করেছে। এছাড়া ভারতের একাধিক বিমান ঘাঁটিতে হামলার কথাও বলেছে পাকিস্তান। তবে ওই সময় থেকে পাকিস্তানের এ দাবি অস্বীকার করে আসছিল ভারত।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব ক র কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ