পাকিস্তানের হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করলো ভারত
Published: 3rd, June 2025 GMT
পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করতে গিয়ে ইসলামাবাদের পাল্টা হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছে ভারত। মঙ্গলবার ভারতের ডিফেন্স চিফ অব স্টাফ অনিল চৌহান বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে অনিল জানিয়েছেন, অভিযানে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং তার ফল অনেক বেশি জরুরি।
কয়েক আগে সিঙ্গাপুরে একটি সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কাছে জেনারেল চৌহান প্রথম বার মেনে নিয়েছিলেন যে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ বিমান ধ্বংস হয়েছে ভারতের। তার পরে দেশে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছিল মোদি সরকার। মনে করা হচ্ছে, এই আবহেই মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, অভিযানে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জরুরি নয়। তার পরিণামই জরুরি।
জেনারেল চৌহান বলেছেন, “ক্ষয়ক্ষতি গুরুত্বপূর্ণ নয়, পরিণাম গুরুত্বপূর্ণ। এর আগের সাক্ষাৎকারেও আমি বলেছি সে কথা।”
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। এ ঘটনার ১৫ দিন পরে ৭ মে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। ওই দিনই পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতের অন্তত তিনটি যুদ্ধবিমান ও অসংখ্য ড্রো্রন ধ্বংস করেছে। এছাড়া ভারতের একাধিক বিমান ঘাঁটিতে হামলার কথাও বলেছে পাকিস্তান। তবে ওই সময় থেকে পাকিস্তানের এ দাবি অস্বীকার করে আসছিল ভারত।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব ক র কর
এছাড়াও পড়ুন:
৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি
মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে।
আরো পড়ুন:
জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ
অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!
এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ