কোরবানির ঈদে মাংস সংরক্ষণ করার আলাদা একটা ঝামেলা থাকে। দেখা যায় যে, অনেক মাংস সংরক্ষণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে মাংস এমনভাবে সংরক্ষণ করা উচিত যাদে অনেক দিন ভালো থাকে। রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ করার দুই রকম নিয়ম জেনে নিন।

পদ্ধতি এক. মাংসে চর্বি যত কম থাকে, তত বেশিদিন ভালো থাকে। সংরক্ষণের আগে মাংস থেকে রক্ত, চর্বি, পানি পরিষ্কার করে নিতে হবে। যাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে না পারে। মাংস বেশি মোটা করে না কেটে স্লাইস করে রাখলে বেশিদিন ভালো থাকে। স্লাইস করে কাটা মাংস ছোট ছোট প্যাকেটে সংরক্ষণ করতে পারেন। জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করলে বেশি ভালো। এ ছাড়া মাংস সংরক্ষণে বিভিন্ন প্লাস্টিক ব্যাগ বা বক্স ব্যবহার না করে ভ্যাকিউম-সিল্ড ব্যাগ ব্যবহার করা সর্বোত্তম। ফ্রিজে রাখার পর মাংস শক্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে, তার আগে ফ্রিজ খোলা যাবে না। শক্ত হওয়ার আগে মাংস বাতাসের সংস্পর্শে আসলে বেশিদিন ভালো থাকে না। শূন্য ডিগ্রি ফারেনহাইটে থাকলে মাংস প্রায় এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।

পদ্ধতি দুই.

 ড্রাইং পদ্ধতি মাংস সংরক্ষণ করা একটি  পুরনো পদ্ধতি। রোদে শুকিয়ে বা চুলায় জ্বাল দিয়ে ৭০ থেকে ৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় মাংসের সম্পূর্ণ পানি শুকিয়ে নিতে হয়। এ পদ্ধতিতে মাংসের চর্বি ফেলে পাতলা করে কেটে ভ্যাকিউম-সিল্ড করে ফ্রিজে এক বছর পর্যন্ত রাখা যায়।

আরো পড়ুন:

ঈদে চুল সাজাবেন কীভাবে

দাম্পত্য সম্পর্ক মধুর করতে পাঁচটি কাজ করতে পারেন

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ