যেভাবে মাংস সংরক্ষণ করলে ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকবে
Published: 4th, June 2025 GMT
কোরবানির ঈদে মাংস সংরক্ষণ করার আলাদা একটা ঝামেলা থাকে। দেখা যায় যে, অনেক মাংস সংরক্ষণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে মাংস এমনভাবে সংরক্ষণ করা উচিত যাদে অনেক দিন ভালো থাকে। রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ করার দুই রকম নিয়ম জেনে নিন।
পদ্ধতি এক. মাংসে চর্বি যত কম থাকে, তত বেশিদিন ভালো থাকে। সংরক্ষণের আগে মাংস থেকে রক্ত, চর্বি, পানি পরিষ্কার করে নিতে হবে। যাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে না পারে। মাংস বেশি মোটা করে না কেটে স্লাইস করে রাখলে বেশিদিন ভালো থাকে। স্লাইস করে কাটা মাংস ছোট ছোট প্যাকেটে সংরক্ষণ করতে পারেন। জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করলে বেশি ভালো। এ ছাড়া মাংস সংরক্ষণে বিভিন্ন প্লাস্টিক ব্যাগ বা বক্স ব্যবহার না করে ভ্যাকিউম-সিল্ড ব্যাগ ব্যবহার করা সর্বোত্তম। ফ্রিজে রাখার পর মাংস শক্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে, তার আগে ফ্রিজ খোলা যাবে না। শক্ত হওয়ার আগে মাংস বাতাসের সংস্পর্শে আসলে বেশিদিন ভালো থাকে না। শূন্য ডিগ্রি ফারেনহাইটে থাকলে মাংস প্রায় এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।
পদ্ধতি দুই.
আরো পড়ুন:
ঈদে চুল সাজাবেন কীভাবে
দাম্পত্য সম্পর্ক মধুর করতে পাঁচটি কাজ করতে পারেন
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সংরক্ষিত নারী আসনসংখ্যা বৃদ্ধি ও সরাসরি নির্বাচনের দাবি মহিলা পরিষদের
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনসংখ্যা বৃদ্ধি ও সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। আজ বুধবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদে দেখা যাচ্ছে, ১৪ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত সংসদে নারী আসনের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্যে আসতে পারেনি। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছে। আরও বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে, সংসদে নারী আসন বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের এই আলোচনায় রাজনৈতিক দলের নারী প্রতিনিধিত্ব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নারী কমিশনের প্রতিনিধিত্ব এবং দেশের নারী সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব অনুপস্থিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এর আগে ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যানের বক্তব্যে দেখা গিয়েছিল, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংসদে ১০০টি সংরক্ষিত নারী আসনের পক্ষে একমত হয়েছে, যদিও নির্বাচনপদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে, জাতীয় সংসদে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্যের উপস্থিতি নারী সমাজের স্বার্থ ও মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখবে এবং জনগণের কাছে তাঁদের দায়বদ্ধতা তৈরি করবে। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের বিধান থাকায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যথাযথ নারী প্রতিনিধিত্ব হয় না। সাধারণত নারী আসনে মনোনীত হয়ে যাঁরা সংসদে গেছেন, তাঁরা যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেননি।
বিবৃতিতে ছয়টি দাবি তুলে ধরে বলা হয়, জাতীয় সংসদের সাধারণ আসনে নারী-পুরুষ উভয়ই নির্বাচন করতে পারবেন। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন থাকবে। সংরক্ষিত নারী আসনসংখ্যা ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশে উন্নীত করতে হবে। সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের প্রথা বাতিল করতে হবে। একটি সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই ব্যবস্থা দুই থেকে তিন মেয়াদের জন্য থাকবে।