৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা: বিষয়ভিত্তিক মডেল টেস্ট-৯
Published: 4th, June 2025 GMT
১. কোন রাজবংশের সময়ে ‘আনন্দবিহার’ তৈরি হয়?
ক. চন্দ্র বংশ
খ. দেব বংশ
গ. পাল বংশ
ঘ. সেন বংশ
২. কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট ছিলেন—
ক. শশাঙ্ক
খ. কুজরাট
গ. কণিঙ্ক
ঘ. গোপাল
৩. মেসোপটেমিয়া সভ্যতায় কোন লিপির উদ্ভব ঘটে?
ক. ইউনিফর্ম
খ. কিউনিফর্ম
গ. হায়ারোগ্লিফিক
ঘ. কোনোটিই নয়
৪. মীর জুমলাকে বাংলার সুবেদার হিসেবে নিয়োগ দেন কে?
ক.
খ. সম্রাট বাবর
গ. সম্রাট শাহজাহান
ঘ. সম্রাট জাহাঙ্গীর
৫. ইবনে বতুতা কার শাসনামলে ভারতবর্ষে আসেন?
ক. শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ
খ. মুহাম্মদ বিন তুঘলক
গ. গিয়াসউদ্দিন তুঘলক
ঘ. দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত
৬. বাংলায় স্থানীয় সরকারব্যবস্থা প্রণয়ন করেন কে?
ক. লর্ড হার্ডিঞ্জ
খ. লর্ড রিপন
গ. লর্ড মিন্টো
ঘ. লর্ড লিটন
৭. সেন্ট্রাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেন কে?
ক. নওয়াব আবদুল লতিফ
খ. সৈয়দ আমির আলী
গ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঘ. রামমোহন রায়
৮. ছয় দফা দাবিকে তৎকালীন আইয়ুব সরকার কী হিসেবে আখ্যা দেয়?
ক. বাঙালির মুক্তির দাবি
খ. ম্যাগনাকার্টা
গ. বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মসূচি
ঘ. অশান্তির সংকেত
৯. কার নেতৃত্বে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হয়?
ক. আবুল বরকত
খ. রফিক উদ্দিন
গ. গাজীউল হক
ঘ. আবুল হাসেম
১০. বাংলা ভাষাকে গণপরিষদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার নেপথ্যে থাকা ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন—
ক. কংগ্রেসের সদস্য
খ. কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য
গ. লেবার পার্টির সদস্য
ঘ. মহাসভার সদস্য
১১. ‘মোদের গরব’ ভাস্কর্যটি কোথায় স্থাপিত হয়?
ক. বাংলা একাডেমিতে
খ. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে
গ. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
ঘ. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
১২. বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন কত নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন?
ক. ৭
খ. ৪
গ. ১০
ঘ. ৫
১৩. কৃষিতে ‘ঝুমকা’ বলতে কী ধরনের ফসল বোঝায়?
ক. আলু
খ. বাধাঁকপি
গ. টমেটো
ঘ. বেগুন
১৪. কোনটির মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি বন্ধ হয়?
ক. পণ্যের দাম কমা
খ. মুনাফার হার বৃদ্ধি
গ. মূলধনের জোগান কমা
ঘ. মুনাফার হার কমা
১৫. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
ক. ১৯৭২
খ. ১৯৭৩
গ. ১৯৭৪
ঘ. ১৯৭৬
১৬. রাখাইনদের বসবাস কোথায়?
ক. বরগুনা
খ. সাতক্ষীরা
গ. ফরিদপুর
ঘ. বরিশাল
১৭. সংবিধানের কোন সংশোধনী অনুযায়ী উপরাষ্ট্রপতি পদ বিলুপ্ত করা হয়?
ক. ত্রয়োদশ
খ. দ্বাদশ
গ. একাদশ
ঘ. চতুর্দশ
১৮. বাংলাদেশে প্রথম অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় কোন সালে?
ক. ১৯৯০
খ. ১৯৯২
গ. ১৯৯৬
ঘ. ২০২৪
১৯. বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘তিন কন্যা’ কার তৈরি?
ক. রফিকুন নবী
খ. এস এম সুলতান
গ. কামরুল হাসান
ঘ. জয়নুল আবেদিন
২০. জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সরকারি গেজেটভুক্ত শহীদের সংখ্যা কত?
ক. ৮৩৪
খ. ৮৫২
গ. ৭৪০
ঘ. ১০৫৬
১. খ। ২. গ। ৩. খ। ৪. ক। ৫. খ। ৬. খ। ৭. খ। ৮. গ। ৯. গ। ১০. ক।
১১. ক। ১২. গ। ১৩. গ। ১৪. খ। ১৫. ক। ১৬. ক। ১৭. খ। ১৮. ক। ১৯. গ। ২০. ক।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?