ঈদে দীর্ঘ ছুটিতে অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
Published: 4th, June 2025 GMT
ঈদে দীর্ঘ ছুটিতে অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ বুধবার সচিবালয়ের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসা করবে। কোন কোন দিন ব্যাংক খোলা থাকবে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়ে দিয়েছে। গরুর হাটেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য দেশে এসব ক্ষেত্রে ছুটি আরও বেশি দেওয়া হয়। সার্বিকভাবে সরকারি এ ছুটিতে অর্থনীতিতে তেমন কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শুরু আগামীকাল বৃহস্পতিবার টানা ১০ দিন ছুটি থাকবে। অর্থাৎ ছুটি শেষ হবে ১৪ জুন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড স ল হউদ দ ন আহম দ উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
৫০ বছর ধরে খাইট্টা বেচেন শরীয়তপুরের আজিজ
আবদুল আজিজ ঢালীর বয়স ৭০ বছর। ৫০ বছর ধরে করছেন কাঠ-গাছের ব্যবসা। সেই সঙ্গে কোরবানি ঈদের অন্তত ১৫ দিন আগে থেকে মাংস প্রস্তুত করার কাঠের খাইট্টা বিক্রি করেন। তাঁর এ ব্যবসায় সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতা।
আজিজের বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর এলাকায়। কোরবানি ঈদের দুই সপ্তাহ আগে থেকে বিভিন্ন হাটে তেঁতুলগাছের তৈরি খাইট্টা বিক্রি করেন। তাঁর খাইট্টা এলাকায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, আজিজ পাঁচ সন্তানের বাবা। স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান নিয়ে সংসার তাঁর। তরুণ বয়সে এলাকায় জ্বালানি কাঠ ও ফার্নিচার তৈরির কাঠের ব্যবসা শুরু করেন। গ্রাম থেকে গাছ কিনে শ্রমিক দিয়ে ফার্নিচারের কাঠ ও জ্বালানি কাঠ প্রস্তুত করে বিক্রি করতেন। সেই সঙ্গে শুরু করেন ঈদের মৌসুমে মাংস প্রস্তুত করার কাজে ব্যবহৃত খাইট্টা। ওই আয়েই সংসার চলেছে। সন্তানদের পড়ালেখা, বিয়ে দেওয়া—সবই করেছেন ওই আয় দিয়ে। আজিজের তিন ছেলে এখন কর্মজীবী। বয়সের কারণে আজিজ এখন আর কাঠের ব্যবসাটি করেন না। তবে ঈদে মাংস প্রস্তুতকাজে ব্যবহৃত খাইট্টা তৈরি ও বিক্রির কাজটি ছাড়েননি।
ঈদের অন্তত তিন মাস আগে গ্রাম থেকে বিভিন্ন আকৃতির তেঁতুলগাছ কেনেন। তা দিয়ে বিভিন্ন আকৃতির খাইট্টা তৈরি করে মজুত করেন। ঈদের দুই সপ্তাহ আগে শরীয়তপুর সদরের মনোহার বাজার হাট, আংগারিয়া হাট, বুড়িরহাট, গোসাইরহাটসহ বিভিন্ন হাটে ওই খাইট্টা নিয়ে যান বিক্রির জন্য। আজিজের তৈরি প্রতিটি খাইট্টা বিক্রি করা হয় ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা দামে। এ বছর তিনি ৭০০টি খাইট্টা তৈরি করেছেন।
খাইট্টা নিয়ে সদরের মনোহর বাজার গরুর হাটের পাশে বসেছিলেন আবদুল আজিজ। অনেক ক্রেতা তা কিনে নিচ্ছিলেন। তেমনই একজন শরীয়তপুর পৌরসভার পালং এলাকার রুহুল আমীন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ছোটবেলা থেকে বাবার সঙ্গে বিভিন্ন গরুর হাট ঘুরে মনোহর বাজার গরুর হাট থেকে কোরবানির গরু কিনতেন। সেই সঙ্গে আজিজ চাচার তৈরি তেঁতুল কাঠের খাইট্টা কিনে নিয়ে যান।
আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ব্যবসাটা ছাড়তে মন চায় না। তাই ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই বয়সেও খাইট্টা নিয়ে হাটে যান তিনি। প্রতি মৌসুমে তাঁর অন্তত দুই লাখ টাকা লাভ হয়। এই টাকা খরচ করে তিনি আনন্দ পান।