কর্মসূচি শিথিলের পরও ঢাকা দক্ষিণ সিটির মূল ভবনে তালা, সেবা বন্ধে মানুষের ভোগান্তি
Published: 4th, June 2025 GMT
কর্মসূচি শিথিল করার ঘোষণা দেওয়ার পরও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মূল ভবনের প্রধান ফটকে এখনো তালা ঝুলছে। এ কারণে সেবা নিতে আসা লোকজন ফিরে যাচ্ছেন। কর্মকর্তারাও অফিসে আসেননি।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গুলিস্তান এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরদিন ১৫ মে করপোরেশনের সিংহভাগ কর্মচারীরাও এতে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন। ওই দিনই নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
বিএনপির নেতা-কর্মী ও কর্মচারীদের কর্মসূচির কারণে ওই দিন থেকে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন–সংক্রান্ত কাজ, ওয়ারিশান সনদ, নতুন ট্রেড লাইসেন্স (ব্যবসার অনুমতিপত্র), ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, কর জমাসহ সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার চলমান কর্মসূচিতে এসে ইশরাক হোসেন ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘সামনে ঈদ। জনভোগান্তির কথা সামনে রেখে নগর ভবন অবরোধ বা ঘেরাওয়ের যে কর্মসূচি সেটাকে কিছুটা শিথিল ও বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সরকার শপথের মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিলে ছুটির পর আরও কঠোর আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছিলেন ইশরাক।
ইশরাক হোসেনের এমন বক্তব্যের পর ধারণা করা হয়েছিল, ঈদের আগে আজ সরকারি অফিসগুলোর শেষ কর্মদিবসে হয়তো নগর ভবনেও স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে। কিন্তু বাস্তবে এখনো নগর ভবনে তালা ঝুলছে।
মগবাজার এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম ছেলের জন্মনিবন্ধন সংশোধন করতে দুপুরের দিকে এসেছিল নগর ভবনে। এর আগেও দুই দিন ঘুরে ফিরে গেছেন তিনি। আজও নগর ভবনের ফটকে তালা দেওয়ার কারণে তিনি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের আন্দোলনের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসা উচিত।
করপোরেশনের অনেক কর্মকর্তাও আজ অফিস করতে নগর ভবনে এসেছিলেন। এমন অন্তত ছয়জন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁদের মধ্যে একজন নির্বাহী প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল বলা হয়েছিল আজ অফিস খুলবে। কিন্তু সকালে গিয়ে দেখি ফটকে তালা দেওয়া। করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রশাসক আসেননি। পরে চলে এসেছি।’
এ নিয়ে করপোরেশনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত নগর ভবন ভবন র ইশর ক
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার শপথ আইনজীবীদের
নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার শপথ নিয়েছেন আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে এ শপথ নেন তারা।
জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা শেষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান এ শপথ বাক্য পাঠ করান।
এ সময় আইনজীবীরা দাঁড়িয়ে দুই হাত তুলে বলেন, আমরা জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এ চেতনা আমাদের মধ্যে অব্যাহত রাখব। ফ্যাসিসদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্য বজায় রাখবো। জুলাই বিপ্লবে আমরা যারা অংশগ্রহণ করেছি আমাদের মধ্যে ফ্যাসিসদের বিরোধী চেতনা অব্যাহত রাখবো।
আর ফ্যাসিসদের আমরা ব্যক্তিগতভাবে ও দলগতভাবে কোন পৃষ্ঠপোষকতা করবো না। তাদের রক্ষা করব না এবং তাদের মামলা সংক্রান্ত কোন বিষয়ে আমরা অংশগ্রহণ করব না। আর সকল সাজা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে আমরা সর্বদা খেয়াল রাখবো। হে প্রভু আমাদের এই শপথ কবুল করেন।
পরে সাখাওয়াত খান বলেন, সম্মিলিত শক্তি হলো আসল সত্যি। আজকে ঐক্যবদ্ধভাবে আইনজীবী সমিতি ও আইনজীবী ফোরাম সকলের সম্মিলিতভাবে এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমন্ডিত করেছেন। তার জন্য আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকে আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি।
আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবো এবং সবাই মিলে আইনজীবী ফোরামকে শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে গড়ে তুলবো। আমাদের এই ঐক্যতা ধরে রাখতে হবে । আমরা নারায়ণগঞ্জে কোন ফ্যাসিসদের সুযোগ-সুবিধা দেবো না। আমরা কেউ ফ্যাসিসদের মামলা পরিচালনা করব না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. কাজী আঃ গাফফারের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল ও আইনজীবী সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আঃ বারী ভূঁইয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. সরকার হুমায়ূন কবির, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, জেলা আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পিপি এড. খোরশেদ আলম মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক পিপি এড. আবুল কালাম আজাদ জাকির, জেলা আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. বেনজির আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জহিরুল হক, এড. মেহেবুব আরেফিন শিমু, এড. কায়সার আলম চৌধুরী টুটুল, এড. আসমা হেলেন বিথি, এড. শামসুন্নুর বাঁধন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজুল হক হান্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড. একেএম ওমর ফারুক নয়ন, সিনিয়র আইনজীবী এড. রফিক আহমেদ, এড. বেনজীর আহমেদ, এড. বোরহান উদ্দিন সরকার, এড. হাফিজুর রহমান মোল্লা, এড.সৈয়দ মশিউর রহমান শাহিন, এড. রকিবুল হাসান শিমুল, এড. মানিক মিয়া, এড. আলম চৌধুরী, এড. আজিজুর রহমান মোল্লা, এড. ফয়সাল আরেফিন টুটুল, এড. জাহিদ হাসান মুক্তা, এড.একেএম মাহমুদুল হক আলমগীর, এড. নজরুল ইসলাম মাসুম, এড. সিদ্দিকুর রহমান, এড. সুমন মিয়া, এড. হৃদয়, এড.এসএম সায়েম রানা, এড. মাঈনউদ্দিন রেজা, এড. সালাউদ্দীন ভুঁইয়া সবুজ, এড. ফজলুর রহমান ফাহিম, এড. সুমন মিয়া, এড. মাসুদা আক্তার ,এড. লিজা, এড. রাসেল মিয়া, এড. আমিনুল ইসলাম, এড. শাহআলম শামীম, এড. জামান মিয়া, এড. কাজী সুমন, এড.আবুল কালাম আজাদ, এড. আদনান মোল্লা, এড.আবু রায়হান, এড. আশরাফুল বারী ভুঁইয়া, এড. খোরশেদ আলমসহ প্রমূখ।
পদযাত্রাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক হয়ে চানমারি নতুন রাস্তা মোড় ঘুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয় দিয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভিতর হয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে এসে শেষ হয়।