সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের দাবিতে ২৮ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গত মঙ্গলবার ৩ জুন রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নিয়মিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে‌ছে।

বুধবার (৪ জুন) দল‌টির মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ এক বিবৃ‌তি‌তে বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চায় রাষ্ট্রের মৌলিক ও প্রয়োজনীয় সংস্কার, পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার এবং পিআর পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন। এই দাবিকে সামনে রেখে আগামী ২৮ জুন দুপুর ২টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন। ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মহাসমাবেশে দিকনিদের্শনামূলক বক্তব্য রাখবেন।

তি‌নি ব‌লেন, মহাসমা‌বেশ‌কে কেন্দ্র ক‌রে দেশের সকল প্রান্ত থেকে লাখো জনতা রাজধানীতে জড়ো হবে। সরকারের কাছে এই তিন দফা দাবি পূরণের আহ্বান রাখবে তারা। একই সাথে দেশ-বিদেশের সকল ষড়যন্ত্রকারীর প্রতি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে যে, বাংলাদেশের মানুষ সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ আছে।

স্বাধীনতার ৫৪ বছরে রাষ্ট্র নাগরিকদের প্রতিষ্ঠান হওয়ার বদলে স্বার্থান্বেষী মহলের গোষ্টিস্বার্থ হাসিলের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে জা‌নি‌য়ে দল‌টির মহাস‌চিব ব‌লেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে রাষ্ট্রকে জনতার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আর সেজন্য দরকার সংস্কার। গোটা জাতি রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। সংস্কারে সরকারের সদিচ্ছার কথা শোনা গেলেও সংস্কার এখনো দৃশ্যমান হয় নাই। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংস্কার প্রশ্নের চেয়ে অন্যান্য বিষয় প্রধান্য পাচ্ছে।

তি‌নি বলেন, পতিত স্বৈরতন্ত্র জুলাই-আগস্টে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। আরো কয়েক হাজার মানুষকে পঙ্গু করেছে, অন্ধত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিগত পনের বছরে শতশত মানুষকে গুম করেছে। খুন করেছে। দেশের হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এমন সংঘবদ্ধ নৃশংস অপরাধী চক্রের বিচার হওয়া জনতার প্রাণের দাবী। বিচারের কাজ শুরু হলেও তার গতি শ্লথ; যা মানুষকে আশাহত করছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মনোনয়ন দৌড়ে এবারও হেরে গেলেন মনির খান

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান— যার কণ্ঠে প্রেম, ব্যথা আর প্রার্থনার সুরে ভেসেছে একটি প্রজন্ম। তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী শুধু গানে নয়, রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মনির খান। ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন এই কণ্ঠশিল্পী। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি তার। সেই আসনে দল মনোনয়ন দিয়েছে মেহেদী হাসান রনিকে।

আরো পড়ুন:

নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা

মনোনয়ন না পেলেও মনির খান প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইতিবাচকভাবে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি, ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।”

শিল্পীর এই পোস্টে প্রশংসা করেছেন ভক্তরা। রাজনীতিতেও তার সংযম ও সৌজন্যতা তুলে ধরেছেন অনেকেই।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকাদের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও শেষপর্যন্ত বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় কোনো শিল্পী বা অভিনেতার নাম নেই। মনির খানের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বেশি আলোচিত ছিলেন নায়ক উজ্জ্বল ও হেলাল খান, কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও বেবী নাজনীন।

ঢাকা/রাহাত/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ