আইসিটি খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য তথ্য আহ্বায়ন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে ২০২৫ সালের ১৭ই এপ্রিল আইসিটি বিভাগের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে রয়েছেন খ্যাতিমান উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড.

এম. নিয়াজ আসাদুল্লাহ। এই টাস্কফোর্সের মূল উদ্দেশ্য হলো ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইসিটি খাতে অনিয়ম এবং অপব্যবস্থাপনার তদন্ত ও গবেষণাপূর্বক আইসিটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন করা।

বার্তায় বলা হয়, টাস্কফোর্স ইতিমধ্যেই তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে এবং কয়েকটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ বৈঠকে শ্বেতপত্র প্রণয়নে নাগরিক ও বিভিন্ন অংশীজনদের সম্পৃক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই প্রেক্ষাপটে, কমিটি দেশবাসীর কাছে তথ্য চেয়ে সহযোগিতা কামনা করেছে যাতে একটি তথ্যভিত্তিক ও পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রকাশ করা যায়। যদি কারও নিকট আইসিটিখাত সংশ্লিষ্ট কোনো দুর্নীতি বা অনিয়ম সম্পর্কে তথ্য থাকে তাহলে নিচের চ্যানেলগুলো ব্যবহার করে তাদের তথ্য, মতামত ও প্রস্তাবনা দিতে পারবেন। পাশাপাশি সকল প্রকল্পের অনুমোদন ও বাস্তবায়নের ধাপে আইনি ব্যত্যয় বা অনিয়মের প্রমাণ যেমন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কারসাজি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্প স্থান নির্ধারণ ইত্যাদি সম্পর্কেও তথ্য দেয়া যাবে।

তথ্য, মতামত ও প্রস্তাবনা পাঠানো যাবে ই-মেইল: [email protected] 
ফেসবুক: www.facebook.com/ictwhitepaperbd2025
লিংকডইন:www.linkedin.com/company/ictwhitepaperbd2025 

এছাড়াও টাক্সফোর্স প্রধান, রুম ৭০৭, ৭ম তলা, আইসিটি টাওয়ার, আগারগাঁও, ঢাকা ১২০৭ এ সরাসরি তথ্য জমা দেয়া যাবে। পাশাপাশি ভবনের নিচ তলায় একটি পরামর্শ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে।

বার্তায় বলা হয়, কমিটি প্রাপ্ত তথ্য যথাযথ গোপনীয়তা ও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

ঢাকা/হাসান/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব তপত র প র শ ব তপত র প আইস ট

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ করে ঘি খাওয়ার প্রবণতা থেকে এই সরকারও বের হয়ে আসতে পারেনি

ঋণ করে ঘি খাওয়ার প্রবণতা দেশের মানুষকে ঋণের ফাঁদে আটকে ফেলেছে। এবারও সরকার এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট এক বিবৃতিতে বলেছে, ঋণের সুদ পরিশোধ, জনপ্রশাসন এসব খাতেই বাজেট বরাদ্দের বিরাট অংশের টাকা চলে যাচ্ছে। সরকার প্রয়োজনে এই ধারা থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব সম্পদের ওপরে ভর করে বাজেট প্রণয়নের ধারাকে একটা দৃশ্যমান ধারা হিসেবে সামনে নিয়ে আসার কাজটি করতে পারত। অন্তর্বর্তী সরকার পুঁজিবাদী ধারাটি দেশের নিয়তি হিসেবে ঘোষণা করল।

গতানুগতিক পথে হেঁটে যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে, তা সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে না বলে মনে করছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বাজেটে বৈষম্যহীনতা ও টেকসই উন্নয়নব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলা হলেও বাস্তবে মুক্তবাজারের পুরোনো ধারাবাহিকতার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয়েছে, যা বৈষম্য, বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগসংকট—কোনোটাই মোকাবিলা করতে পারবে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিরাট কোনো প্রত্যাশা না থাকলেও মানুষের আশা ছিল, বাজেটে স্বস্তি থাকবে। কিন্তু সর্বজনীন রেশনব্যবস্থা, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার মতো বিষয় নেই। লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ওই টাকা স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সরাসরি সাধারণ মানুষের স্বার্থের কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার আকাঙ্ক্ষা থাকলেও তার ছিটেফোঁটা পর্যন্ত নেই। বরং সংবিধানবহির্ভূতভাবে কালো টাকাকে সাদা করার বিধান রাখা হয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোট বলেছে, বাজেটে প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা মোটেই অর্জিত হবে না। মূল্যস্ফীতি যথাযথভাবে কমানো যাবে না। বৈষম্য দূর করার কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপও নেই।

বাজেটের আগে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি উল্লেখ করে বাম জোট বলেছে, বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তী বিশেষ বাজেট প্রণয়নের আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া চলতি বছরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথে সরকার হাঁটবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে দিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন, সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষমতায় গেলে পরিবেশ রক্ষায় ৫ পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার তারেক রহমানের
  • নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’ গুরুত্বপূর্ণ: নাহিদ ইসলাম
  • আইসিটি খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য আহ্বান
  • ঋণ করে ঘি খাওয়ার প্রবণতা থেকে এই সরকারও বের হয়ে আসতে পারেনি