অনড় পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা, গ্রামে গ্রাহকের ভোগান্তি
Published: 5th, June 2025 GMT
অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, চেয়ারম্যানের অপসারণসহ সাত দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল বুধবার ১৫তম দিনের মতো তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন। গতকাল সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।
এদিকে দেশের অধিকাংশ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মীদের একাংশ কর্মবিরতিতে থাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটছে। বিদ্যুৎহীন রয়েছে অনেক এলাকা। সেবাবঞ্চিত হচ্ছে অন্তত দেড় কোটি গ্রাহক। কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহকদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
পবিস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, গ্রামাঞ্চলসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ করছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। দেশের ৪ কোটি ৮২ লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যে আরইবির গ্রাহক ৩ কোটি ৬৮ লাখ। দেশজুড়ে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূতকরণ ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগসহ নানা দাবিতে গত জানুয়ারি থেকে আন্দোলন করছেন সমিতির কর্মীরা। এই ধারাবাহিকতায় গত ২১ মে থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। আন্দোলনে গত কয়েক দিনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সংহতি জানিয়েছে।
সরকার দাবি না মানায় ২৭ মে থেকে আংশিক কর্মবিরতি পালন করছেন সমিতির কর্মীরা। মঙ্গলবার থেকে তা জোরদার হয়। অনেক সমিতির লাইনম্যান কর্মস্থল ছেড়ে গণছুটিতে গেছেন। সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক বুধবার আরইবির পরিচালক (পবিস মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা) বরাবর একটি পত্রে জানান, সুনামগঞ্জ পবিসের লাইনক্রুরা বুধবার সকাল ৯টায় অভিযোগ কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রের মোবাইল ফোন জমা দিয়েছেন।
অভিযোগ নিরসন না করায় গ্রাহকের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। স্টেশনে অবশিষ্ট স্বল্প সংখ্যক লাইনক্রুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে স্টেশন ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। লাইনম্যান না থাকায় দৈনিক শ্রমিক ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকবল দিয়ে বিতরণ লাইনে কাজ করানো হচ্ছে। কিন্তু সচল লাইনে অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স করার অভিজ্ঞতা না থাকায় নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর মকর ত ত র কর ম ন করছ ন গ র হক
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিসি ব্যাংকের পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত
বেসরকারি খাতের এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে পর্ষদ সভাটি হয়।
এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, পরিচালক ও প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আলী, পরিচালক সৈয়দ আসিফ নিজাম উদ্দিন, পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার, পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, শামিমা নেওয়াজ, মোরশেদুল আলম চাকলাদার, নাহিদ বানু, স্বতন্ত্র পরিচালক মীর সাজেদ উল বাসার এবং স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম শামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আলম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির আনাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. মনিরুল আলম (কোম্পানি সচিব) ও মো. হাবিবুর রহমান এবং বোর্ড ডিভিশনের এসএভিপি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, সভায় ব্যাংকের চলমান ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও কৌশলগত পরিকল্পনা–সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটি মুনাফা করেছে ১৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা কমেছে ১০২ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকটি মুনাফা করে ৫৮ কোটি টাকা। গত বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মুনাফা ২০১ কোটি টাকা।