শাকিব খানের সঙ্গে নাচার অভিজ্ঞতা জানালেন ফারিণ
Published: 5th, June 2025 GMT
‘তুমি কোনে শহরের মাইয়া গো লাগে উড়াধুরা’ -গানটি রায়হান রাফী পরিচালিত ‘‘তুফান’ সিনেমার গান। মেগাস্টার শাকিব খান টলিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে এই গানে তুমুল নেচেছিলেন। গানটি প্রকাশের পর দেখা গিয়েছিল- শাকিব খানের সিনেমা যারা দেখেননি, তারাও গানটির সঙ্গে নাচছেন।
মুক্তির পর থেকেই দেশ-বিদেশের কয়েক শ ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর মেতে উঠেছিলেন এই গানের সুরে। সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় ছিলো- যারা মূলত হিন্দি বা দক্ষিণি সিনেমা এবং সিরিজের রিভিউ করেন এমন ইউটিউবাররাও প্রশংসা করেছিলেন। বাণিজ্যিক সিনেমার গান হিসেবে ‘অসাধারণ’ তকমা পেয়েছে গানটি।
সম্প্রতি শাকিব খান এবং প্রীতমের সঙ্গে এই গানে নেচেছেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। প্রীতম এবং শাকিব খানের সঙ্গে নাচার অভিজ্ঞতা গণমাধ্যমে শেয়ার করেছেন তাসনিয়া।
আরো পড়ুন:
কাঁধে কাঁধ মেলালেন শাকিব-নিশো, যা বললেন জয়
শাকিব খানকে কাছ থেকে দেখে যা শিখেছেন সাবিলা
তিনি বলেন, ‘‘যখন রিহার্সেল করেছিলাম তখন প্রীতম ভাইয়া বা শাকিব ভাইয়াকে তো পাইনি। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা আগে থেকেই স্ক্রিপ্টেড ছিল। সবকিছু মিলে আমাদের একটা প্ল্যান ছিল। কিন্তু মঞ্চে যাওয়ার পরে কিন্তু কখনোই বোঝা যায় না, কি হতে পারে। তবে আমাদের রিহার্সেলের চেয়েও অনেক বেশি বেটার হয়েছে। আমরা সবাই খুব এনজয় করেছি, নেচেছি। ’’
উল্লেখ্য, গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়িকা কনা ও পশ্চিমবঙ্গের গায়ক আকাশ সেন। গানের কথা ও সুরও করেছেন আকাশ।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’