ঈদে ট্রেনে ফিরতি যাত্রার শেষ দিনের টিকিট বিক্রি শুরু
Published: 5th, June 2025 GMT
ঈদুল আজহা শেষে ঘরমুখো মানুষের ফেরার সুবিধার্থে আন্তঃনগর ট্রেনের আসনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করছে বাংলাদেশে রেলওয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার বিক্রি করা হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থার শেষ দিনের (১৫ জুনের) টিকিট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বিক্রি শুরু হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট। দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট। যাত্রীদের সুবিধার্থে এবারও শতভাগ আসন অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
ঈদ উপলক্ষ্যে রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে জানা গেছে, আন্তঃনগর ট্রেনের ৯ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি বিক্রি হয়েছে ৩০ মে; ১০ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি বিক্রি হয়েছে ৩১ মে; ১১ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি বিক্রি হয়েছে ১ জুন; ১২ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি বিক্রি হয়েছে ২ জুন; ১৩ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি বিক্রি হয়েছে ৩ জুন এবং ১৪ জুনের আসনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ৪ জুন।
ঈদের পরে ৭ দিনের ট্রেনের আসনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এসময় কেনা টিকিটগুলো যাত্রীরা রেলওয়েকে ফেরত দিতে পারবেন না। প্রতিজন টিকিটপ্রত্যাশী ৪টি আসনের টিকিট একবার একসঙ্গে কিনতে করতে পারবেন। একটির বেশি আসনের টিকিট কিনলে সহযাত্রীদের নাম টিকিট কেনার সময় লিখতে হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ ল আজহ জ ন র আসন র ট ক ট ব ক র র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
ফাঁকা রাজধানী, ঘরমুখী মানুষের ভিড় টার্মিনালে
ঈদুল আজহার ছুটি শুরুর আগে বুধবার ছিল শেষ কর্মদিবস। ওই দিন বিকেল থেকেই রাজধানী ছাড়তে শুরু করেন ঘরমুখী মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার বাস টার্মিনালে ছিল উপচে পড়া ভিড়। আর অনেকেই স্বস্তির জন্য ঢাকা ছাড়ছেন আজ শুক্রবার। এখন বাস টার্মিনালে ভিড় থাকলেও পাল্টে গেছে ব্যস্ততম রাজধানীর চিরচেনা দৃশ্য।
আজ সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে গণপরিবহন ছিল হাতে গোনা। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও ছিল কম। সড়কে মানুষের উপস্থিতি কম হলেও যাঁরা ছিলেন, গণপরিবহন পেতে তাঁদের ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। আছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও।
রাজধানীর মহাখালীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন জান্নাতুল ফেরদৌস। ঈদের ছুটিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী যাচ্ছেন তিনি। গাড়ির জন্য দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার কথা জানালেন জান্নাতুল। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি, গাড়ি পাচ্ছি না। আবার এক-দুটি গাড়ি পেলেও সেখানে অনেক মানুষের ভিড়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। ভাড়াও দ্বিগুণের মতো চাচ্ছে।’
অবশ্য বাস টার্মিনালে ছিল মানুষের ভিড়। উত্তরের পথে দীর্ঘ যানজটের কারণে যাত্রীর চাপ আরও বেড়েছে। আগে টিকিট কেটেও অনেককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী ও শিশুরা। তবে যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
মহাখালী বাস টার্মিনালে রাজশাহী, বগুড়া ও নাটোরগামী ‘একতা’ পরিবহনের টিকিট বিক্রি করছেন সাঈদুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের হাতে বিক্রি করার মতো এখন আর কোনো টিকিট নেই। আমাদের যাত্রীরা এসে বসে আছেন, তাঁরা যেতে পারছেন না। আমাদের গাড়িগুলো যমুনা সেতুর ওপারে জ্যামে আটকে আছে।’
ঈদ সামনে রেখে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানীর রাস্তাঘাট। শুক্রবার বেলা দেড়টায় রাজধানীর কুড়িলে