ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত
Published: 5th, June 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের এতিমখানা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন নবীনগর উপজেলার লাপাংয়ের মৃত হজরত আলীর ছেলে আবুল কাশেম (৫৮), একই উপজেলার নারায়ণপুরের বিল্লাল মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (১৯) ও ফেনী জেলা সদরের দক্ষিণ ফরাদ নগরের আবুল খায়েরের ছেলে নুরুল আলম (৫৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার পৌর এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। উপজেলার ইব্রাহিমপুর বাজার বাঁশবাজার থেকে এতিমখানা রোডের মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছার পর বিপরীত দিক থেকে আসা দুরন্ত পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, ওই ঘটনার পর বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে এর চালক ও সহযোগী পালিয়ে গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত ব্যক্তিদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।