ক্রিকইনফোর আইপিএল সেরা দলে জায়গা পেলেন যারা
Published: 5th, June 2025 GMT
প্রথমবার আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। অন্য মৌসুমের মতো এবারো দারুণ খেলেছেন বিরাট কোহলি। আইপিএলের বড় তারকা হয়ে উঠেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। গত বছর কেকেআরকে শিরোপা জিতিয়েছেন। এবার ১১ বছর পর পাঞ্জাব কিংসকে ফাইনালে তুলেছেন নেতৃত্বে ও ব্যাটে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে।
গুজরাটের জার্সিতে জস বাটলার ভালো মৌসুম পার করেছে। গত মৌসুমে দারুণ খেলার পরও রাজস্থান রয়েল তাকে ছেড়ে দিয়েছিল। প্রিয়ংশি আরিয়া আলো কাড়লেও সাই সুদর্শন ছিলেন বেশি নির্ভার। বাজে শুরু করা দলকে প্লে অফে তুলতে ভালো ভূমিকা রেখেছেন মুম্বাইয়ের সূর্যকুমার যাদব।
দলকে ফাইনালে তুলতে ব্যর্থ হওয়ার দায় মাথা পেতে নিয়ে মুম্বাইয়ের নেতৃত্বভার ছেড়ে দিলেও হার্ডিক পান্ডিয়া ব্যাটে-বলে দারুণ এক অলরাউন্ডারের ভূমিকা পালন করেছেন। বেঙ্গালুরুকে শিরোপা জেতাতে বড় অবদান রেখেছেন তারই ভাই ক্রুনাল পান্ডিয়া। তরুণ উইকেটরক্ষক জিতেশ শর্মা এবারের আইপিএলের এক ব্রেক থ্রু।
বোলিংয়ে জাসপ্রিত বুমরাহকে সেরার তালিকায় রাখতেই হবে। রশিদ খানের পড়তি মৌসুমে আলো কেড়েছেন তরুণ আফগান লেগ স্পিনার নুর আহমেদ। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা তিন বছর পর আইপিএলে ফিরে সর্বাধিক উইকেট দখল করে পার্পল ক্যাপ পেয়েছেন। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জস হ্যাজলউডও জায়গা পেয়েছেন ক্রিকইনফোর সেরা আইপিএলে দলে।
ক্রিকইনফোর সেরা আইপিএল দল: সাই সুদর্শন (গুজরাট), বিরাট কোহলি (বেঙ্গালুরু), জস বাটলার (গুজরাট), সূর্যকুমার যাদব (মুম্বাই), শ্রেয়াস আইয়ার (পাঞ্জাব), হার্ডিক পান্ডিয়া (মুম্বাই), জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক, বেঙ্গালুরু), ক্রুনাল পান্ডিয়া (বেঙ্গালুরু), নুর আহমেদ (চেন্নাই), জাসপ্রিত বুমরাহ (মুম্বাই), প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা (গুজরাট), জস হ্যালজউড (বেঙ্গালুরু)।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল আরস ব
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’