অভাগা দক্ষিণ আফ্রিকা দল আর বাকি থাকবে কেন! চলতি বছরে কিছু না জেতা বা দীর্ঘদিন শিরোপার স্বাদ না পাওয়া অনেক দল ট্রফির দেখা পেয়েছে। সর্বশেষ এই তালিকায় যোগ হয়েছে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এর আগে ফুটবলে ট্রফি জিতেছে টটেনহাম, ক্রিস্টাল প্যালেস, নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মতো ক্লাব। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করাম আশা করছেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও এই ধারা বজায় থাকুক।

১৯৯৮ সালে মিনি বিশ্বকাপের পর বৈশ্বিক কোনো আসরে কোনো ট্রফি জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগেও কখনো বিশ্বকাপ জেতেনি দলটি। ১১ জুন লর্ডসে শুরু ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে সেই অপেক্ষা ঘুচবে তাদের। তবে কাজটা সহজ হবে না নিশ্চিত।

যে যার সেরাটা দিয়ে খেলবে, আমার মনে হয় এটাই সবার সিদ্ধান্ত। এটা কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ, ডিউক বল, লর্ডস—সব মিলিয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি।এইডেন মার্করাম

যদিও দল হিসেবে প্রোটিয়ারা এই ‘আন্ডারডগ সাফল্য’ নিয়ে বেশি কিছু ভাবছে না, তবুও মার্করামের আশা এই ধারা চলতে থাকবে। আইসিসিকে তিনি বলেছেন এভাবে, ‘এ বিষয়ে আসলে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। তবে আশা করছি এই ধারা চলবে। দল হিসেবে অনেক বছর ধরে আমরা এই লক্ষ্যের পেছনে ছুটছি। সব সংস্করণেই আমাদের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এক-দুবার জয়ের কাছাকাছি গিয়েছি। এই টেস্ট ম্যাচের পাঁচ দিনে যদি এমন কোনো অবস্থানে পৌঁছাতে পারি, যেখানে জেতা সম্ভব, তাহলে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

আরও পড়ুনকোহলি কি জানতেন, বাইরে মানুষ মারা যাচ্ছে৫ ঘণ্টা আগে

আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোর সাম্প্রতিক আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা সব সংস্করণেই ভালো করেছে। গত বছর তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল, যদিও ফাইনালে হেরে গেছে ভারতের কাছে। তারা ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালেও জায়গা করে নেয়। এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে তারা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে ফাইনালে এসেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা কি জিততে পারবে?.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ বক প ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ