প্রায় চার মাস পর মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটিকে বর্ধিত করে ৬১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির সাত সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছিল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আফরোজা খানমকে। এর আগে তিনি দুইবার জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তিনি সাবেক মন্ত্রী হারুনার রশিদ খান মুন্নুর মেয়ে।

এ ছাড়া ৬০ জনকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এস এ জিন্নাহ কবীর, আজাদ হোসেন খান, আতাউর রহমান আতা, নূরতাজ আলম, সত্যেন কান্ত ও গোলাম আবেদীন কায়সার প্রথম ঘোষিত কমিটিতে ছিলেন। কমিটির সদস্য পদে অন্যরা হলেন মোকসেদুর রহমান, জহির আলম খান, আতাউর রহমান, আবদুল বাতেন, খন্দকার আকবর হোসেন, আবদুল কুদ্দুস খান, মোশাররফ হোসেন শিকদার, ইকবাল হোসেন, গোলাম কিবরিয়া, নাসির উদ্দিন আহমেদ, আবিদুর রহমান খান, আবদুস সালাম, আলী আশরাফ, গাজী হাবিব হাসান, হামিদুর রহমান, রফিক উদ্দিন ভূইয়া, আবদুল হক মোল্লা, আবদুল আউয়াল, আরিফ হোসেন লিটন, শামীম আল মামুন, জিয়াউর রহমান, আসাদুজ্জামান খান, রিয়াজ মাহমুদ, সাবিহা হাবিব, মহিউদ্দিন স্বপন, গোলাম মোস্তফা খান, রহমত আলী বেপারী, সিরাজুল ইসলাম, আবদুল হান্নান মৃধা, মীর মানিকুজ্জামান, খোরশেদ আলম ভুইয়া, নূরুল ইসলাম, আবুল বাশার সরকার, ওয়াজেদ আলী, মিজানুর রহমান, বাবুল হোসেন, দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, আলাউদ্দিন, আবদুল গফুর, আমজাদ হোসেন, হাবিবুল আলম, আবদুল মান্নান, আবদুস সোবহান, নূরুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, সানজিদা রহমান, শফিকুল ইসলাম, কাজী মোস্তাক হোসেন, তুহিনুর রহমান, জিয়া উদ্দিন আহমেদ, জিন্নাহ খান, রকিবুর রহমান, আবদুল খালেক ও সিরাজুর রহমান।

কমিটির আহ্বায়ক আফরোজা খানম বলেন, ‘বিগত সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে যাঁরা রাজপথে ছিলেন, যাঁরা মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছেন, তাঁদের নিয়ে এই কমিটি করা হয়েছে। বিগত সময়ের মতো দলের সবাইকে নিয়ে ভবিষ্যতে দলকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করব।’

এদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে রাতে মানিকগঞ্জ শহরে মিছিল করেছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র রহম ন ব এনপ র ল ইসল ম কম ট র আবদ ল সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

৯০ বছর বয়সী এই নারীর বিধবা ভাতার টাকা খোয়া গেল কীভাবে

মুঠাফোনে বিধবা ভাতার টাকা পেয়েছিলেন ৯০ বছর বয়সী আমেনা বেগম। আশা ছিল ঈদে নিজের জন্য নতুন কাপড় কিনবেন, নাতি-নাতনিদেরও কিছু দেবেন। ভালো কিছু খাবেন। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার দোকানে গিয়ে টাকা তুলতে গিয়ে জানলেন, যে মুঠোফোন নম্বরে টাকা এসেছে, সেখানে টাকা নেই, অন্য নম্বরে পাঠানো হয়ে গেছে।

দোকানির কাছে এ কথা শুনে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন আমেনা বেগম। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, তাঁর ঈদটাই শেষ হয়ে গেল।

আমেনা বেগম ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের প্রয়াত আবদুল জলিলের স্ত্রী।

বয়স্ক এই নারী বলেন, ছোটবেলায় তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর চার ছেলে ও চার মেয়ে। স্বামী অন্যের জমিতে কৃষিকাজ করতেন। ছেলেরাও এখন অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করেন। মেয়েরা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। ছেলেমেয়েরা নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। তিনি ছেলেদের কাছে থাকেন। কিন্তু তাঁরাও হতদরিদ্র, নিজেরাই সংসার চালাতে হিমশিম খায়।

আমেনা বেগম বলেন, তিনি প্রথমবারের মতো বিধবা ভাতার টাকা পেয়েছেন। ২৯ মে তাঁর ছেলের মুঠোফোন নম্বরে ভাতার এক বছরের ৬ হাজার ৬০০ টাকা একসঙ্গে আসে। কিন্তু দোকানে গিয়ে শোনেন টাকা অন্য নম্বরে পাঠানো হয়ে গেছে।

দোকানির ভাষ্য, ওই বৃদ্ধার মুঠোফোন থেকে একটি মুঠোফোন নম্বরে ৩৯ টাকা রিচার্জ করা হয়। পরে ওই নম্বরে ৬ হাজার ৬০০ টাকা ‘সেন্ড মানি’ করা হয়।

মুঠোফোনটি ব্যবহার করেন ওই বৃদ্ধার ছেলে আবদুস সাত্তার। তিনি বুঝতে পারছেন না কীভাবে তাঁর ফোন থেকে ‘সেন্ড মানি’ হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁরা গরিব মানুষ। মা ভাতার টাকা পেলে নিজের প্রয়োজনমতো খরচ করতেন। এবারও টাকা পেয়ে অনেক আশা করেছিলেন। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল। কীভাবে টাকাটা খোয়া গেছে, এর সুষ্ঠু তদন্ত চান তিনি।

যে নম্বরে ওই বৃদ্ধার টাকা গেছে, সেই নম্বরে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহারুজ্জামান সবুজ বলেন, ওই নারীকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে, এ ব্যাপারে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ