গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস বকেয়া থাকা দুঃখজনক, অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

বৃহস্পতিবার বিবৃতেতে জোনায়েদ সাকি বলেন, ঈদের মাত্র একদিন আগে এসেও দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে বেতন ও বোনাসের দাবিতে। এটা শুধু দুর্ভাগ্যজনক নয়, চূড়ান্ত অমানবিক। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে স্পষ্ট যে, অনেক কারখানায় এখনও শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হয়নি। গত রোজার ঈদেও টিএনজেডসহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে যেসব ন্যায্য পাওনার প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন, সেগুলোও এখনও সম্পূর্ণ পরিশোধ হয়নি; যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আশা করি, সরকার অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আবুল হাসান রুবেল বলেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের পাওনা নিশ্চিত করা কোনো অনুগ্রহ নয়, এটি তাদের ন্যায্য অধিকার। এই অধিকার থেকে শ্রমিকদের বঞ্চিত করায় শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের শাস্তি হওয়া দরকার। চলতি সপ্তাহেই বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর টিয়ারশেল ও জলকামান চালিয়েছে পুলিশ। শ্রমিকদের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের এই আচরণ চরম অন্যায়। মালিকপক্ষ ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যেমন ঈদ আছে, শ্রমিকদেরও ঈদ আছে। আপনারা ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগেই শ্রমিকদের বেতন বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর

জাতীয় ক্রিকেট লিগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তিনদিনেই জয় পেয়েছে রাজশাহী বিভাগ। ৭ উইকেটে তারা হারিয়েছে খুলনা বিভাগকে। এদিকে সিলেটে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।

তার ব্যাটে ভর করে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে লড়ছে সিলেট। ঢাকার করা ৩১০ রানের জবাবে সিলেটের ৭ উইকেটে রান ২৬০। ৫০ রানে পিছিয়ে তারা। ১৭০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৯৩ রান করে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর। তার সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত আছেন ইবাদত হোসেন। এছাড়া শাহানুর ৩০ ও তোফায়েল ২৭ রান করেন।

আরো পড়ুন:

মাহিদুল-মজিদের সেঞ্চুরির দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ

স্বীকৃতির ১০ বছর পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ

মিরপুরে খুলনার দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংও যুৎসই হয়নি। এবার ২৫৫ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। ১ উইকেটে ৬৮ রানে দিন শুরু করে তারা। এনামুলের ইনিংস থেমে যায় ৩৪ রানে। মোহাম্মদ মিথুন খুলতে পারেননি রানের খাতা। মিরাজ ৪৮ ও জিয়াউর এবং ইয়াসির মুনতাসির ৩২ রানের দুটি ইনিংস খেলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতেও তাদের স্কোর বড় হয়নি।

১৪৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ২৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি। তাতে ১০৯ রানের লক্ষ্য পায় রাজশাহী। ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

হাবিবুর রহমান সোহান ৬৮ বলে ৬২ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। ২৫ রান আসে সাব্বির হোসেনের ব্যাট থেকে। সাব্বির রহমান ১২ ও মেহরব ৪ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে ফেরেন। প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরল তারা।

কক্সবাজারে ময়মনসিংহ বিভাগ ও রংপুর বিভাগের ম্যাচ বাজে আউটফিল্ডের কারণে ভেস্তে যায়। একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। ২ উইকেট হারিয়ে রংপুরের রান ১৮। এখনও তারা ৫৩৭ রানে পিছিয়ে। ময়মনসিংহ প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৫৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে।

পাশের মাঠে ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় খেলা হয়েছে। আগের দিনের ২ উইকেটে ১১৫ রানের সঙ্গে ৫১ রান যোগ করেন বরিশাল বিভাগ। খেলা হয়েছে কেবল ১৫ ওভার। জাহিদুজ্জামান খান ৩২ ও সালমান হোসেন ইমন ৭৫ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম ইনিংসে এখনও তারা ১৯২ রানে পিছিয়ে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রামগতিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন
  • সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর