অবিশ্বাস্য! নেশনস লিগের সেমিফাইনালে ফ্রান্স ও স্পেনের মধ্যে গতকাল রাতে যা হয়েছে, তাঁকে বোধ হয় এই একটি শব্দেই বোঝানো যায়। স্টুটগার্টে ম্যাচের ৫৫ মিনিটেও স্পেন এগিয়ে ছিল ৪-০ গোলে। মনে হচ্ছিল, ফ্রান্সকে গুঁড়িয়ে দিয়েই বোধ হয় ফাইনালের টিকিট কাটবে স্পেন।

কিন্তু কে জানত, অনবদ্য এক নাটকীয়তা তখনো অপেক্ষা করছে সবার জন্য; যে নাটকে শেষ পর্যন্ত ৫-৪ গোলে স্পেন জিতেছে ঠিকই। কিন্তু আরেকটু হলে ঘুরে দাঁড়ানোর রূপকথার গল্পটা প্রায়ই লিখেই ফেলেছিল ফরাসিরা।

এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে স্পেন এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। গোল করেন নিকো উইলিয়ামস ও মিকেল মেরিনো। বিরতির পর ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ইয়ামাল করেন দলের তৃতীয় গোল। এক মিনিট পর ম্যাচের চতুর্থ গোলটি করেন পেদ্রি।

আরও পড়ুনআনচেলত্তির অভিষেক রাঙাতে পারলেন না ভিনিসিয়ুসরা, ব্রাজিলের হতাশার ড্র৩ ঘণ্টা আগে

ম্যাচে ফ্রান্স যখন ৪-০ ব্যবধানে পিছিয়ে, তখন অনেকে ফলটা অনুমান করে হয়তো খেলা দেখাই বন্ধ করে দেন। কিন্তু এরপরই শুরু হয় ম্যাচের রূপ বদল। ৫৯ মিনিটে পেনাল্টি গোলে ফ্রান্সের হয়ে ব্যবধান ৪-১ করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।

ইয়ামাল ও এমবাপ্পে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ