কালুরঘাটে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৩: ট্রেনচালকসহ চারজন বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি গঠন
Published: 6th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল দুমড়েমুচড়ে গিয়ে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় লোকোমাস্টারসহ (চালক) চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে। এ ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সুবক্তগীন এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী চারজনকে বরখাস্ত ও তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি জানান।
বরখাস্ত হওয়া চারজন হলেন—পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের দায়িত্ব পালনকারী গার্ড সোহেল রানা, লোকোমাস্টার গোলাম রসুল, সহকারী লোকোমাস্টার আমিন উল্লাহ এবং অস্থায়ী গেটকিপার (টিএলআর) মাহবুব।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল দুমড়েমুচড়ে যায়। এ ঘটনায় দুই বছরের শিশু আয়েশাসহ তিনজন নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন।
আরও পড়ুন‘আমার মেয়েটা কী দোষ করেছে’, মেয়ের রক্তাক্ত দেহ নিয়ে বাবার আহাজারি১০ ঘণ্টা আগেএ বিষয়ে জানালিহাট স্টেশনমাস্টার নেজাম উদ্দিন ওই রাতেই প্রথম আলোকে বলেন, পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে। রাত ১০টায় কালুরঘাট সেতু এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় সেতুর ওপর কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল ছিল। সেতুর ওপর একটি গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অন্য গাড়িগুলো আটকে ছিল।
এদিকে রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন—বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) সাজিদ হাসান, বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ আবু রাফি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন ও বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা।
তদন্ত কমিটিকে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত বরখ স ত র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’