আইসিসির ৪ বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল ট্রাম্প প্রশাসন
Published: 6th, June 2025 GMT
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চার বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
যুক্তরাষ্ট্রও এর মিত্রদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও অবৈধ পদক্ষেপ নেওয়ার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কো রুবিও। খবর রয়টার্সের
বিবৃতিতে বলা হয়,‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এখন আর নিরপেক্ষ নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। তারা ভুলভাবে দাবি করছে যে, তাদের এমন সীমাহীন ক্ষমতা আছে, যার মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলোর নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইচ্ছেমতো তদন্ত ও বিচার চালাতে পারে। এই বিপজ্জনক দাবি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের মিত্রদের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ওপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।’ এই মিত্রদের মধ্যে যে ইসরায়েলও অন্তর্ভুক্ত- তাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া চার বিচারক হলেন- উগান্ডার বালুঙ্গি বোসা, পেরুর লুজ ডেল কারমেন ইবানেজ, বেনিনের রেইনি আদেলাইদে সোফিয়া আলাপিনি গানসোউ এবং স্লোভেনিয়ার বেতি হোলার। নিষেধাজ্ঞার ফলে ওই বিচারকদের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সম্পত্তি ও আর্থিক সম্পদ জব্দ করা হবে। একই সঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না। এই লেনদেনের মধ্যে অর্থ, পণ্য বা সেবা প্রদানও অন্তর্ভুক্ত।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে আইসিসি। এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে আইসিসি বলেছে, ‘এই পদক্ষেপগুলো একটি আন্তর্জাতিক বিচারিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতাকে দুর্বল করে দেওয়ার স্পষ্ট চেষ্টা। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বিশ্বের ১২৫টি সদস্য রাষ্ট্রের ম্যান্ডেট অনুযায়ী পরিচালিত হয়। যারা জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন, তাদের লক্ষ্যবস্তু বানালে সংঘাতের ফাঁদে আটকে থাকা সাধারণ মানুষের কোনো উপকার হয় না। বরং, আগ্রাসী শক্তিতে আরও সাহস জোগায়। শাস্তির ভয় ছাড়া যেকোনো কিছু তারা করতে পারে- এমন অভয় দেওয়া হয় তাদের।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র আইস স য ক তর ষ ট র আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’
আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।
পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’
শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি