গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বাসচাপায় অটোরিকশার চালকসহ তিনজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের পলাশবাড়ী উপজেলার ডাকঘর নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন পলাশবাড়ী উপজেলার খামার নড়াইল গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে মো. লিয়াকত (১৮), ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে ইউনুছ আলী (২০) ও অটোরিকশার চালক গনি মিয়া (৪০)। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম–পরিচয় পাওয়া যায়নি।

হত্যাহতের তথ্য নিশ্চিত করে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে আছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস পলাশবাড়ী যাচ্ছিল। বাসটি বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের ডাকঘর এলাকায় আরেকটি বাসকে অতিক্রম করতে গিয়ে বিপরীত থেকে আসা একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে অটোরিকশার চালক ও দুজন যাত্রী নিহত হন। আহত হন অটোরিকশার অন্য দুজন যাত্রী।

খবর পেয়ে পলাশবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ বাসটি আটক করলেও চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে যান।

ওসি জুলফিকার আলী বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু

বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

ঢাকা/মামুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ