দেশের অন্যতম বৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ময়দানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন লক্ষাধিক মুসল্লি। ২২ একর আয়তনের এই ময়দানে দিনাজপুরের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেন। মুসল্লিদের আসা যাওয়া নির্বিঘ্ন রাখতে তৃতীয়বারের মতো দুইটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা ছিল। 

শনিবার (৭ জুন) সকাল ৮টায় গোর-এ-শহীদ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঈদুল আজহার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মো.

মাহফুজুর রহমান।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিশাল এই জামাতে দিনাজপুর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেছেন। ঈদগাহ মাঠে নিরাপত্তার বিষয়ে বরাবরের মতো জোর দেওয়া হয়েছে। ঈদগাহ জুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করেছেন।” 

আরো পড়ুন:

বায়তুল মোকাররমে ২য় জামাতে মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা

পর্যটক বরণে প্রস্তুত রাঙামাটি

তিনি আরো বলেন, “মুসল্লিরা যাতে ঈদগাহ মাঠে নামাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন সেজন্য তৃতীয় বারের মতো দুটি স্পেশাল ট্রেন ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ১৯টি প্রবেশপথ দিয়ে সকাল ৭টা থেকে মুসল্লিরা মাঠে প্রবেশ করেন। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহের জন্য শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।”

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ উৎসব ঈদগ হ

এছাড়াও পড়ুন:

জকোভিচের শেষের শুরু

উনচল্লিশ চলছে তাঁর। একজন স্পোর্টসম্যানের জন্য বয়সটা নেহাত কম নয়। সেটা বুঝতে পেরেই হয়তো প্যারিস ওপেন থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আবেগি হয়ে পড়েন সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ। শুক্রবার সেমিফাইনালে তিনি হেরে যান ইতালির ইয়ানিক সিনারের কাছে। তিনবারের ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ী এই কিংবদন্তী। রোঁলা গারোর দর্শকদের কাছে হাত উঁচিয়ে বিদায় নিয়ে যান। 

‘এটাই হতে পারে এখানে খেলা আমার শেষ ম্যাচ। জানি না, তবে (শেষ ভেবে) আবেগি হয়ে পড়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে কী, আমি আবারও এখানে খেলতে চাই। কিন্তু সেটা আরও বারো মাস পরে, যা কিনা আমার জন্য অনেক বেশি সময়। ইউএস ওপেন  আর উইম্বল্ডন খেলব। তারপর পাকাপাকি অবসরের নিব কিনা জানি না।’ 

২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা এই তারকা সম্প্রতি সময়ে লড়ছেন যেন তার বয়সের সঙ্গেই। দু’বছর আগে সর্বশেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন ইউএস ওপেনে। এর পর গত বছর উইম্বল্ডনের ফাইনালে উঠলেও হেরে যান কার্লোস আলকারেজের কাছে। এবারে প্যারিস থেকে বিদায় নিলেও সেখানকার লাল মাটির কোর্টে কিছু রেকর্ডে নিজের নাম লিখে যান জকো। 

লাল দুর্গের এই কোর্টে রাজা ছিলেন যিনি, সেই রাফায়েল নাদালের সর্বাধিক ১১২টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে এখানে। সেই লাল দুর্গেই কিনা দ্বিতীয় সর্বাধিক হিসেবে ১০১টি ম্যাচ জিতে নেন জকোভিচ। ক্যারিয়ারে একক কোনো মেজর আসরেও এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। দশ বার অংশগ্রহণ করে তিনবার শিরোপা জিতে নেন এই ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে। তবে এখান থেকেই বোধহয় শেষের শুরু হলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ