কোরবানির ঈদে গরুর মাংসের নানা পদই মুসলিম বাড়িতে রান্না হয়। পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করার জন্য রান্না করতে পারেন গরুর মাংসের কোরমা। জেনে নিন রেসিপি।
গরুর মাংস: ২ কেজি
তেল: আধা কাপ
পেঁয়াজকুচি: ২ কাপ
আদাবাটা: দেড় টেবিল চামচ
রসুনবাটা: এক টেবিল চামচ
কাজুবাদাম বাটা: ১ টেবিল চামচ
কাঠবাদাম বাটা: ১ টেবিল চামচ
পেস্তাবাদাম বাটা: ১ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ বাটা: ২ চা-চামচ
গোলমরিচ গুঁড়া: ১ চা-চামচ
জিরা গুঁড়া: ১ চা-চামচ
ধনেগুঁড়া: ২ দুই টেবিল চামচ
জায়ফল গুঁড়া: আধা চা-চামচ
জয়ত্রীগুঁড়া: আধা চা-চামচ
তেজপাতা: ৪টি
দারুচিনি: ৬ টুকরা
বড় এলাচি: ২টি
লবঙ্গ: ৮-৯টি
লবণ: পরিমাণমতো
টক দই: এক কাপ
গরম পানি: চার কাপ
দুধ: দুই কাপ
ঘি: আধা কাপ
গরমমসলা গুঁড়া: এক চা-চামচ
পেঁয়াজ বেরেস্তা: আধা কাপ
আলুবোখারা: ৬-৭টি
চিনি: এক টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ: ৬-৭টি
প্রথম ধাপ: শুরুতে মাংস ধুয়ে ছোট ছোট টুকরা করে নিন। এরপরে তেল, পেঁয়াজকুচি আর সব বাটা মসলাসহ গোলমরিচ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, জায়ফল গুঁড়া, জয়ত্রীগুঁ ড়া, তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচি, লবঙ্গ, লবণ, টক দই দিয়ে মেখে দুই ঘণ্টার জন্য রেস্টে রেখে দিন।
আরো পড়ুন:
জার্নি শেষে পান করতে পারেন ‘ম্যাংগো লাচ্ছি’
ঈদে অতিথি আপ্যায়নে থাকুক লিচুর পুডিং
দ্বিতীয় ধাপ: মেরিনেট করা মাংসে পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। মাংস আধা সেদ্ধ হলে দুধ দিয়ে দিন। এবার অল্প আঁচে রান্না করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ: মাংসের ঝোল কমে এলে ঘি, গরমমসলা গুঁড়া, বেরেস্তা, আলুবোখারা, চিনি, কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামিয়ে নিন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’