ঈদের নামাজে যাওয়ার পথে বাসচাপায় প্রাণ গেল বাবা-ছেলের
Published: 7th, June 2025 GMT
বগুড়ার শাজাহানপুরে ঈদের নামাজ আদায় করতে যাওয়ার সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসচাপায় বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম।
নিহতরা হলেন- শাজাহানপুর উপজেলার বামুনিয়া মন্ডলপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে চাঁন মিয়া এবং তার চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ।
স্থানীয়দের বরাতে আজিজুল ইসলাম বলেন, ঈদের নামাজ পড়ার জন্য চাঁন মিয়া ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ বাড়ি থেকে বের হন। এসময় তারা দুজনেই নয়মাইল এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ডিভাইডার লাফিয়ে পার হন। পরে রাস্তা পারাপারের সময় একটি যাত্রীবাহী বাস তাদেরকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত ঈদ ল আজহ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’