তার বড় ছেলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুনিয়রের চেয়ে বয়সে হয়তো বছর তিনেকের বড়। কিন্তু সেই লামিনে ইয়ামালের বিপক্ষে মাঠে মুখোমুখি লড়তে হবে এখন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে।
রোববার রাতে মিউনিখে নেশন্স লিগের ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে নামবে পর্তুগাল। তার আগে আজকের সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন রোনালদো। যেখানে তাকে বেশিরভাগ প্রশ্নেরই উত্তর দিতে হয় মেসি আর ইয়ামালকে নিয়ে।
মেসির কথা উঠতেই স্মৃতিচারণ রোনালদোর। ‘মেসির প্রতি আমার একটা ভালো লাগা আছে, আমরা বহু বছর ধরে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম। যেটা আমি আগেও সাক্ষাৎকারে বলেছি, আমরা দু’জন পনেরটি বছর ধরে দর্শকদের বিনোদন দিয়েছি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে দেখা হলেই আমাদের কথা হতো। তার প্রতি এই ভালো লাগার কারণ সে সব সময় আমাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করত।’
মেসির কথা বলতে বলতেই রোনালদো জানান, এবারের ক্লাব বিশ্বকাপ খেলার জন্য তাকে আর্জেন্টিনার একটি দল প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তাদেরকে ‘না’ বলে দিয়েছেন। ‘আমার এখন চল্লিশ চলছে, এখনও আমাকে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলার প্রস্তাব দেয়। যদিও তাদের আমি হ্যাঁ বলতে পারিনি। আসলে আমি কখনো আর্জেন্টিনায় যায়নি, কিন্তু আমি সেখানে যেতে চাই।’
রোনালদোর এ কথায় কিসের ইঙ্গিত রয়েছে তা নিয়ে মিডিয়ায় চর্চা চলছে। ক্লাব বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার দুই দল বোকা জুনিয়র্স আর রিভার প্লেট খেলবে। রোনালদো কি তাহলে সৌদি ছেড়ে পরের মৌসুমে আর্জেন্টিনা যাবেন? নাকি শ্বশুর বাড়ি আর্জেন্টিনায় বেড়াতে যাবেন? স্পষ্ট করেননি রোনালদো।
তবে ইয়ামালকে নিয়ে একটা স্পষ্ট কথা বলে দিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের একটা অনুরোধ করেন রোনালদো। ‘তাকে প্রত্যাশার এতো চাপ দেবেন না। তাকে বেড়ে উঠতে দিন। তার মধ্যে প্রতিভার কমতি নেই। তাকে বেড়ে উঠতে দিন। বার্সার হয়ে সে দারুণ খেলছে। সে তার প্রতিভাগুলোকে কাজে লাগাতে পারছে। এই সময় তার ওপর বাড়তি চাপ দেবেন না।’ রোনালদো অনুরোধ করলেও সেটা রাখছে কে, এরই মধ্যে এই ম্যাচটিকে ঘিরে রোনালদো আর ইয়ামালকে নিয়ে প্রবল প্রচার চলছে ইউরোপিয়ান মিডিয়াগুলোতে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।