মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু
Published: 7th, June 2025 GMT
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক বাইসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী আহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম জিয়া উদ্দিন সুমন (২৭)। তিনি উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের বড় কুমিরা এলাকার বাসিন্দা।
আহত দুই মোটরসাইকেল আরোহীর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোমিন প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার ঈদের দিন হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে একেবারেই কম। এতে অনেক গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চলছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাইসাইকেল আরোহী জিয়া উদ্দিন মহাসড়কের পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম পাশে যাচ্ছিলেন। এ সময় চট্টগ্রামমুখী একটি মোটরসাইকেল বেপরোয়া গতিতে এসে বাইসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে জিয়া উদ্দিন মারা যান। নিহত ব্যক্তির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’