পবিত্র ঈদুল আজহার দিন শনিবার (৭ জুন) মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। তবে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ রবিবার (৮ জুন) থেকে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে।
ডিএমটিসিএল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঈদের দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকলেও পরদিন সকাল ৮টা থেকে ট্রেন চলবে ৩০ মিনিট পরপর। এ সময়সূচি অনুযায়ী কিছুটা সীমিত আকারে ট্রেন চলবে।
সোমবার (৯ জুন) থেকে মেট্রোরেল চলবে সরকারি ছুটির দিনের সময়সূচি অনুসারে। এ সংক্রান্ত তথ্য আগেভাগে যাত্রীদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বাজেটে মেট্রোরেলে বরাদ্দ ১১ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা
ঢাবিতে ভবঘুরে উচ্ছেদে সহযোগিতা করবে ডিএসসিসি ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে রাজধানীর অনেক বাসিন্দা ঢাকা ছেড়ে গেলেও যারা শহরে রয়েছেন, তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ঈদের পরদিন থেকে আংশিকভাবে মেট্রোরেল চালু রাখা হচ্ছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে টানা ১০ দিনের সরকারি ছুটি। এই ছুটি কার্যকর হয়েছে সচিবালয়সহ সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।
ঢাকা/হাসান/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।
ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।