ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী গ্রেপ্তার
Published: 9th, June 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণকারী নুর মোহাম্মদ নবীকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (৯ জুন) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফেনী মডেল থানা।
গ্রেপ্তার নুর মোহাম্মদ নবী ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ আবুল হাই প্র.
আরো পড়ুন:
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল অটোরিকশা, নারী নিহত
খুলনায় গ্রেনেড বাবুর বাড়িতে মিলল অস্ত্র-গুলি, বাবাসহ আটক ৩
পুলিশ জানায়, ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই নুর মোহাম্মদ নবী আত্মগোপনে ছিলেন। রবিবার (৮ জুন) সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও ফেনী মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি হত্যা মামলাসহ তিনটি পৃথক মামলা রয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলায় নুর মোহাম্মদ নবীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’