জনপ্রিয় মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্স সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা জারি করেছে। অনলাইনে ভুয়া ওয়েবসাইট, পেইজ ও গ্রুপের মাধ্যমে টিকেট বিক্রির নামে কিছু প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যারা দর্শকদের ঠকিয়ে দিচ্ছে—এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে নিয়মিতভাবে।

স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানের নাম ও লোগো ব্যবহার করে কিছু প্রতারক সিন্ডিকেট বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ফেক একাউন্ট খুলে টিকেট বিক্রির নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেক দর্শক এসব সূত্র থেকে টিকেট কিনে হলে এসে পড়ছেন বিপাকে—তারা বুঝতে পারছেন, টিকেটটি বৈধ নয়। বিষয়টি প্রতিষ্ঠানটির নজরে আসার পর দ্রুত তারা সতর্কতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এ বিষয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন,
“বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা চাই না কোনো দর্শক প্রতারণার শিকার হোক। সবাইকে অনুরোধ করছি, ভুয়া ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেইজ থেকে টিকেট না কিনে শুধু আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেল ব্যবহার করুন।”

দর্শকদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, “www.

cineplexbd.com এবং আমাদের অফিসিয়াল মেসেঞ্জার m.me/mycineplex ছাড়া অন্য কোথাও থেকে অনলাইনে টিকেট কিনবেন না। কারো সঙ্গে আপনার ব্যক্তিগত বা পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এছাড়া, আমাদের যেকোনো শাখার কাউন্টার থেকেও সরাসরি টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন।”

স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, দর্শকদের সঙ্গে গড়ে ওঠা দীর্ঘদিনের আস্থা ও সম্পর্ক নষ্ট করার অপচেষ্টা যেন সফল না হয়—এজন্যই এ ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।

ঢাকা/রাহাত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১৫ বছর চামড়া শিল্পে ব্যাপক নৈরাজ্য হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘‘গত ১৫ বছরে দেশের চামড়া শিল্পে ব্যাপক নৈরাজ্য চলেছে এবং এর ফলে শিল্পটির চরম অধঃপতন হয়েছে। এ খাতে যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, তা এত দ্রুত ভাঙা সহজ নয়।’’

সোমবার (৯ জুন) দুপুরে যশোরের রাজারহাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চামড়ার হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘‘আমরা চামড়া শিল্পে সবার আগে এতিমখানা ও মাদ্রাসার স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছি। পাশাপাশি চামড়া শিল্পের সার্বিক স্বার্থ ও ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’’

তিনি বলেন, ‘‘গত ১৫ বছরে চামড়া শিল্পের যে অধঃপতন ঘটেছে, তা পুনরুদ্ধার এবং অবৈধ সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা সারাদেশে কাজ করছি। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। কন্ট্রোল টিমও সক্রিয় রয়েছে।’’

চামড়ার সঠিক দাম ও মূল্য বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে লবণ বিতরণ করেছে উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘‘চামড়ার দাম বাড়াতে ৭ লাখ ৫০ হাজার টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপ চামড়ার মূল্য নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘অনেক মাদ্রাসা লবণ ছাড়াই চামড়া সংগ্রহ করেছে। অথচ সরকার লবণ ছাড়া চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে না। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া সম্পর্কে ধারণা না থাকায় তা নষ্ট করেছেন।  ফলে কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাননি।’’

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ট্যানারি মালিকদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকার ঈদের আগেই ২২০ কোটি টাকার প্রণোদনা ছাড় করেছে। বাজার ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের চাহিদা তৈরি হবে।’’

শেখ বশিরউদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, ‘‘চামড়া শিল্পের নৈরাজ্য নিয়ে এখনো সরকারের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে। অথচ সরকার চামড়া শিল্প রক্ষায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারব।’’

ঢাকা/রিটন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ