ঢালিউডের আলোচিত ও বহুল চর্চিত নায়িকা পরীমণি। রূপ, রস, প্রেম-বিচ্ছেদ আর ব্যক্তিগত জীবনের নানা উত্থান-পতনে বারবার হয়েছেন শিরোনামের কেন্দ্রবিন্দু। এখন ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবেই দুই সন্তানকে ঘিরেই তার জীবনের ব্যস্ততা।পর্দার রূপসী পরী বাস্তবেও কম মুগ্ধ করেন না।

অসংখ্য দর্শক-ভক্তের ‘ক্রাশ’ পরীমণি। কিন্তু পরীমণির নিজের ‘ক্রাশ’ কে? একান্ত এক সাক্ষাৎকারে সেই রহস্যের খানিকটা পর্দা তুলেছেন এ সাহসী অভিনেত্রী।

“দুম করে একটা কি জানি হয়ে যায়! এটা খুব ডেঞ্জারাস। একা একাই ক্রাশ খাই আমি। একা একাই ভাবতে থাকি, হিহি করতে থাকি, নিজের মনের মধ্যেই চলতে থাকে সব। হয়তো তাকে বলিও নাই!”— বললেন পরীমণি, এক চিলতে হাসি মুখে।

আরো পড়ুন:

মানবসেবায় পরীমণির ‘বডি’

আল্লাহ কিছু নেওয়ার আগে কিছু দিয়েও দেন: পরীমণি

প্রশ্ন ছিল-তিনি অসংখ্য মানুষের ক্রাশ, কিন্তু তার ক্রাশ কে? ছেলেদের প্রতি কি ক্রাশ খেতে খেতে হারিয়ে যান তিনি? জবাবে হেসে পরীমণি বুঝিয়ে দিলেন, তার প্রেম ভাবনায় আছে চমক, আছে রহস্য, কিন্তু প্রকাশে কুণ্ঠা।

শুধু প্রেম নয়, ব্যক্তি জীবনেও পরীমণি ছিলেন খবরের পাতায় নিয়মিত। মামলা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আদালত—সব কিছুই জড়িয়ে গেছে তার জীবনের পর্দা-উত্তর গল্পে। তবে এসব নিয়েও বেশ নির্ভার ও রসবোধসম্পন্ন পরী।

“মজাই লাগে আমার। তবু তো লোকজন কিছু একটা করুক! মনে হয়, পৃথিবীতে কোনো সাবজেক্ট না থাকলেও বাংলাদেশে একটা সাবজেক্ট রয়েছে— পরীমণি! যা মন চায় করো,” বললেন হাসতে হাসতে।

জীবন, ক্যারিয়ার, সমালোচনা আর ক্রাশ—সব কিছু মিলিয়ে পরীমণির উপস্থিতি যেন এক বহুমাত্রিক গল্প, যার শেষ নেই, ক্লাইম্যাক্সও অনিশ্চিত।
 

ঢাকা/রাহাত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ