পরীমণির চমকপ্রদ স্বীকারোক্তি: ক্রাশ খান গোপনে, হাসেন একা
Published: 9th, June 2025 GMT
ঢালিউডের আলোচিত ও বহুল চর্চিত নায়িকা পরীমণি। রূপ, রস, প্রেম-বিচ্ছেদ আর ব্যক্তিগত জীবনের নানা উত্থান-পতনে বারবার হয়েছেন শিরোনামের কেন্দ্রবিন্দু। এখন ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবেই দুই সন্তানকে ঘিরেই তার জীবনের ব্যস্ততা।পর্দার রূপসী পরী বাস্তবেও কম মুগ্ধ করেন না।
অসংখ্য দর্শক-ভক্তের ‘ক্রাশ’ পরীমণি। কিন্তু পরীমণির নিজের ‘ক্রাশ’ কে? একান্ত এক সাক্ষাৎকারে সেই রহস্যের খানিকটা পর্দা তুলেছেন এ সাহসী অভিনেত্রী।
“দুম করে একটা কি জানি হয়ে যায়! এটা খুব ডেঞ্জারাস। একা একাই ক্রাশ খাই আমি। একা একাই ভাবতে থাকি, হিহি করতে থাকি, নিজের মনের মধ্যেই চলতে থাকে সব। হয়তো তাকে বলিও নাই!”— বললেন পরীমণি, এক চিলতে হাসি মুখে।
আরো পড়ুন:
মানবসেবায় পরীমণির ‘বডি’
আল্লাহ কিছু নেওয়ার আগে কিছু দিয়েও দেন: পরীমণি
প্রশ্ন ছিল-তিনি অসংখ্য মানুষের ক্রাশ, কিন্তু তার ক্রাশ কে? ছেলেদের প্রতি কি ক্রাশ খেতে খেতে হারিয়ে যান তিনি? জবাবে হেসে পরীমণি বুঝিয়ে দিলেন, তার প্রেম ভাবনায় আছে চমক, আছে রহস্য, কিন্তু প্রকাশে কুণ্ঠা।
শুধু প্রেম নয়, ব্যক্তি জীবনেও পরীমণি ছিলেন খবরের পাতায় নিয়মিত। মামলা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আদালত—সব কিছুই জড়িয়ে গেছে তার জীবনের পর্দা-উত্তর গল্পে। তবে এসব নিয়েও বেশ নির্ভার ও রসবোধসম্পন্ন পরী।
“মজাই লাগে আমার। তবু তো লোকজন কিছু একটা করুক! মনে হয়, পৃথিবীতে কোনো সাবজেক্ট না থাকলেও বাংলাদেশে একটা সাবজেক্ট রয়েছে— পরীমণি! যা মন চায় করো,” বললেন হাসতে হাসতে।
জীবন, ক্যারিয়ার, সমালোচনা আর ক্রাশ—সব কিছু মিলিয়ে পরীমণির উপস্থিতি যেন এক বহুমাত্রিক গল্প, যার শেষ নেই, ক্লাইম্যাক্সও অনিশ্চিত।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।