তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের ৩৩ জেলা, আরও গরম বাড়ার ইঙ্গিত
Published: 9th, June 2025 GMT
দেশের ৩৩ জেলায় আজ সোমবার তাপপ্রবাহ চলছে। গত শনিবার এই তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল মঙ্গলবার এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আগামী বুধবার থেকে তা কমে অসতে পারে।
দেশের অর্ধেকের বেশি অংশজুড়ে তাপপ্রবাহ রয়েছে। তবে অন্য এলাকাতেও ভ্যাপসা গরম পড়েছে। কিছু স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু তাতে গরম কমছে না। বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকার কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, আজ রাজশাহী, রংপুর, ময়মনিসংহ ও খুলনা বিভাগের সর্বত্র তাপপ্রবাহ চলছে। এর পাশাপাশি ফরিদপুর, মাদারীপুর এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীতে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
যে চার বিভাগে আজ তাপপ্রবাহ চলছে, সেসব বিভাগে মোট জেলার সংখ্যা ৩০। এর পাশাপাশি ৩ জেলা মিলিয়ে মোট ৩৩ জেলায় আজ তাপপ্রবাহ চলছে বলে জানান তিনি।
আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে, ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও খুলনার কয়রায়, ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গরম
এছাড়াও পড়ুন:
ভিকারুননিসার ছাত্রী মেয়েকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবা, ডুবে প্রাণ গেল দুজনেরই
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী হালিমা মোহাম্মদ (১৮)। এবার তার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। ঈদুল আজহায় বাড়িতে বেড়াতে এসে বাবা বাবুল আহমেদ বাবুর (৬০) সঙ্গে পুকুরে নেমেছিল সাঁতার শিখতে। কিন্তু হালিমার সাতার শেখা আর হয়নি। বাবার হাত ফসকে ডুবে মারা যায়। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে তার বাবাও প্রাণ হারান।
সোমবার বিকেলে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, বাবুল আহমদের স্ত্রী তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। তাদের চার সন্তান সেখানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। বাড়ির কাছে মানিকসিংহ এলাকায় বাবুলের একটি ইটভাটা রয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে চার-পাঁচ দিন আগে তার স্ত্রী-সন্তানেরা বাড়িতে বেড়াতে আসে। তার সন্তানেরা সাঁতার জানে না। আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে মেয়ে হালিমাকে নিয়ে পুকুরে নেমে প্লাস্টিকের টিউবের সাহায্যে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবুল। একপর্যায়ে টিউব থেকে হাত ফসকে হালিমা পানিতে ডুবে যায়। এ সময় বাবুল মেয়েকে রক্ষার চেষ্টা করেন। কিন্তু দুজনই পানি থেকে উঠছিলেন না। আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে পুকুরে নেমে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। পরে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে দুজন মারা যান।
বাবুলদের আত্মীয় ও জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আজাদ মিয়া জানান, আজ রাত ১০টায় বাবুল ও তার মেয়ের জানাজা হবে। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হবে।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদুল আলম ভুঁইয়া বলেন, ‘পানিতে ডুবে একসঙ্গে বাবা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’