জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘‘আগামী দিনের রাজনীতি হবে জনতার। জনগণের কল্যাণে নিবেদিত থাকবে জনপ্রতিনিধিরা। কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে, সেই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধেই জনগণই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’’

সোমবার (৯ জুন) দুপুরে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সম্প্রীতির ঐক্য সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, “নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিতে নয়, সারাজীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে আজ মঞ্চে দাঁড়িয়েছি।”

তিনি উল্লেখ করেন, তার দল এনসিপি তিস্তা মহাপরিকল্পনা, রাজধানীর সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের সড়ক ও রেল যোগাযোগ উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। পাশাপাশি অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য দূর করে রংপুরকে এগিয়ে নিতে কাজ করার অঙ্গীকার করেন আখতার হোসেন।

ঢাকা/আমিরুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আখত র হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ