চামড়াশিল্প নগরে ত্রুটিপূর্ণ সিইটিপি নির্মাণে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে: শিল্প উপদেষ্টা
Published: 9th, June 2025 GMT
সাভারের চামড়াশিল্প নগরে ত্রুটিপূর্ণ কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি জানান, এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যক্রম চালু আছে।
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার সাভারের হরিণধরায় এলাকায় বিসিক চামড়াশিল্প নগর পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানান শিল্প উপদেষ্টা। পরে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সভাকক্ষে একটি সভা করেন। এতে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ), বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইউএ), বিসিক, সাভার উপজেলা প্রশাসন, ঢাকা ট্যানারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট ওয়েস্টেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট কোম্পানি লিমিটেড, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ট্যানারির মালিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে আদিলুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা ছিল ভালোভাবে চামড়া সংগ্রহ করা। সেই সঙ্গে চামড়া বিক্রেতারা যেন সরকার নির্ধারিত মূল্য পান, তা নিশ্চিত করা। তবে কিছু জায়গায় চামড়ায় লবণ দিতে দেরি হওয়ায় এবং সঠিকভাবে লবণ দিতে না পারায় চামড়া নষ্ট হয়েছে।’
বিসিক চামড়াশিল্প নগরে আজ দুপুর পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৮ হাজার চামড়া প্রবেশ করেছে জানিয়ে শিল্প উপদেষ্টা জানান, এর বাইরে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আছে আরও সাড়ে ৭ লাখ চামড়া।
চামড়াশিল্প নগরের কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারের (সিইটিপি) ত্রুটি নিয়ে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, সিইটিপির ডিজাইনটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল। যাঁরা এটি করেছে, তাঁরা ত্রুটিপূর্ণভাবে করেছেন। কোরবানির ঈদের সময় বেশি পরিমাণে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হয়, তাই এটি চালু রাখা হয়েছে। এখন নতুন করে প্ল্যান্ট তৈরি করার সময় হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ব্যাপারে একটি গবেষণা করছে। সংস্থাটি বিনা মূল্যেই এটি করে দিচ্ছে। প্রতিনিধিরা সিইটিপির গলদ খুঁজে বের করছেন। তাঁদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবার সব মিলিয়ে ৮০-৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিটিএর চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা ট্যানারির মালিকেরা ইতিমধ্যে গতকাল পর্যন্ত ৪ লাখ চামড়া সংগ্রহ করেছি। ঢাকার ভেতরে এবার ৮-১০ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে। কোরবানি কম হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার ১০ শতাংশ চামড়া সরবরাহ কম হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ল প উপদ ষ ট স ইট প
এছাড়াও পড়ুন:
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ
ভারতসহ কয়েকটি দেশে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া না যাওয়ার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এলো এমন নিদের্শনা। সংস্থাটির রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পক্ষ থেকে এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। করোনার ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশের সব স্থল ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি বাড়াতেও বলা হয়েছে সেখানে।
নির্দেশনায় বলা হয়, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভেরিয়েন্ট, বিশেষ করে অমিক্রন এলএফ. ৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ থেকে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণকারী নাগরিকদের জন্য দেশের সব স্থল, নৌ, বিমানবন্দরের আইএইচআর ডেস্কে নজরদারি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ঝুঁকি মোকাবিলায় কিছু কার্যক্রম নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক না হলেও দেশে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কথা বলছেন। এর নাম এক্সএফজি। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটোই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনা হলো
সাতবার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোবেন (অন্তত ২৩ সেকেন্ড)।
নাক-মুখ ঢাকায় জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে
অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না
হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু, কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
দেশে প্রবেশের পথের জন্য নির্দেশনা
দেশের বিভিন্ন স্থল, নৌ, বিমান বন্দরসমূহে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করুন।
দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রি সমূহে থার্মাল স্কান্যার, ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করুন।
চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখুন (পিপিই)।
ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা সমূহ প্রচার করুন।
জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়
অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
প্রয়োজন হলে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন (০১৪০১-১৯৬২৯৩)।