গরমকালে শরীর সুস্থ ও চাঙা রাখতে যে কটি ফল বিশেষভাবে উপকারী, তার মধ্যে কাঁঠাল অন্যতম। স্বাদে মিষ্টি ও পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু রসনাতৃপ্তিই করে না, শরীরের নানা উপকারেও আসে। হজমে সহায়তা থেকে শুরু করে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো, ওজন নিয়ন্ত্রণসহ নানা কারণেই কাঁঠাল দারুণ উপকারী।

প্রাকৃতিকভাবে শক্তি বৃদ্ধি করে

কাঁঠালে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, যেমন সুক্রোজ ও ফ্রুকটোজ। এই প্রাকৃতিক চিনি শরীরে তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি জোগায়। এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটও থাকে, তাই এটি একটি দারুণ প্রাকৃতিক শক্তির উৎস, যা গ্রীষ্মকালে সক্রিয় থাকতে সহায়তা করে।

আরও পড়ুন কাঁচা কাঁঠাল কেন খাবেন২৬ এপ্রিল ২০২৩

হজমশক্তি উন্নত করে

অনেকে মনে করেন কাঁঠাল খেলে হজমে সমস্যা হয়, কিন্তু কাঁঠালে প্রচুর ডায়েটারি আঁশ থাকে, যা হজমপ্রক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এটি মল সহজে বের হতে সাহায্য করে, ফলে পেট পরিষ্কার থাকে। পাশাপাশি কাঁঠাল কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এটি হজম নালি পরিষ্কার রাখে ও অন্ত্রের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখে।

কাঁঠালে প্রচুর ডায়েটারি আঁশ থাকে, যা হজমপ্রক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপক র

এছাড়াও পড়ুন:

২৫ বছর গরমকালে হজ পড়বে না, পঞ্জিকা প্রকাশ

আগামী ২৫ বছরের হজ পঞ্জিকা প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। সামনের বছর থেকে সহনীয় আবহাওয়ায় হজ পালন করতে পারবেন হাজীরা। ২০৫০ সাল পর্যন্ত গ্রীষ্মের তাপে হজ করতে হবে না তাদেরকে।

হুসেইন আল কাহতানি, দেশটির ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিটিওরলজির মুখপাত্র, জানিয়েছেন যে এ বছরই শেষ হচ্ছে গ্রীষ্মের হজ। খবর গালফ নিউজের

কাহতানি জানান, আগামী আট বছরের হজ পড়বে বসন্ত মৌসুমে, পরের আট বছর শীতকালে, এর পরের আট বছর শরতে। ২৫ বছর পর আবারও গ্রীষ্মকালে পড়বে হজ। 

চন্দ্রবর্ষের হিসেবে এই পঞ্জিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, এ কারণে একেক মৌসুমে হজ করতে পারবেন হাজীরা, মুখপাত্র বলেন।

হিজরি পঞ্জিকা এবং বিশ্বব্যাপী প্রচলিত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের মাঝে ১১দিনের তফাৎ রয়েছে। এ কারণে প্রতি বছর কিছু দিন এগিয়ে আসে হজের সময়সীমা।
পঞ্জিকা অনুযায়ী দেখে নিন আগামী ২৫ বছরের হজের সময়-

২০২৬-২০৩৩: বসন্তকাল (মে-মার্চ)
২০৩৪-২০৪১: শীতকাল (ফেব্রুয়ার-জানুয়ারি, ডিসেম্বরের শেষার্ধ)
২০৪২-২০৪৯: শরৎকাল (নভেম্বর-সেপ্টেম্বর)
২০৫০: আবারও গ্রীষ্মকালে ফিরবে হজ

মৌসুমের এ পরিবর্তনের ফলে হাজীদের জন্য হজ সহজ হয়ে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে যাদের বয়স অনেক বেশি বা কোনো শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য গ্রীষ্ম বাদে অন্য সময়ের হজ স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া ভীড়ভাট্টা সামলানো, রসদ সরবরাহ, এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও স্বস্তি আসবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২৫ বছর গরমকালে পবিত্র হজ পড়বে না, পঞ্জিকা প্রকাশ
  • ২৫ বছর গরমকালে হজ পড়বে না, পঞ্জিকা প্রকাশ