মহাবিশ্বের অন্য কোনো স্থানে ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েনের অস্তিত্ব রয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই ধারণা করছেন অনেক বিজ্ঞানী। ভিনগ্রহের প্রাণীদের সন্ধান পেতে নানা ধরনের কৌশল নিয়ে কাজও করছেন তাঁরা। তবে সফলতা না আসায় এবার ভিনগ্রহের প্রাণীদের সন্ধান পেতে নতুন এক কম্পিউটার মডেল তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্পদার্থবিদ ড্যানিয়েল আপাইয়ের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী নতুন এই কম্পিউটার মডেল তৈরি করেছেন। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, সৌরজগতের বাইরে থাকা নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণকারী গ্রহের বাসযোগ্যতা মূল্যায়নের জন্য অভিনব এই কম্পিউটার মডেল তৈরি করা হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে বিভিন্ন গ্রহে প্রাণের সন্ধানে পানির উপস্থিতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এবার পানিনির্ভর মডেলের বাইরে তাপমাত্রা, বিপাকীয় কার্যকারিতাসহ অন্য বেশ কিছু বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে নতুন এই মডেল তৈরি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধানে মহাকাশযান পাঠাচ্ছে নাসা০৮ অক্টোবর ২০২৪

ড্যানিয়েল আপাই বলেন, ‘পৃথিবীতে জীবের বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন অবস্থার প্রয়োজন হয়। নির্দিষ্ট জীব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে আমরা প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছি। আসলে প্রাণের বাসযোগ্যতা সহজে কোনো উত্তরের মাধ্যমে জানা যায় না। সম্ভাব্য উত্তর গণনা করার জন্য কম্পিউটার মডেল বিভিন্ন তথ্যের মধ্যে তুলনা করে। পানিকে একটি মূল কারণ বলে ধরে নেওয়ার পরিবর্তে আমরা জীবের প্রয়োজনীয় অবস্থাকে জীব মডেল হিসেবে বিবেচনা করছি। চারপাশের পরিবেশের উপস্থিতিকে আমরা আবাস্থল নির্ভর মডেল হিসেবে বোঝার জন্য ব্যবহার করছি।’

বিজ্ঞানীরা মূলত প্রাণ বা জীবের চাহিদা মূল্যায়ন করে বাসযোগ্যতা মূল্যায়নের মডেল তৈরি করেছেন। নতুন এ কম্পিউটার মডেল বিভিন্ন গ্রহের মিথেনোজেন নামের প্রাচীন জীবাণু মূল্যায়ন করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ