অপু বিশ্বাসের সঙ্গে এক ভিডিওতে দেখা গেছে শাকিব খানকে। মূলত সন্তান আব্রাম খান জয়কে নিয়ে ঈদের ছুটিতে বেরিয়েছিলেন তারা। সে ভিডিও সামনে আসার পর শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন। এমন গুঞ্জনের মধ্যেই শাকিব খানের আরেক সাবেক স্ত্রী বুবলী দিলেন স্ট্যাটাস।

মঙ্গলবার বুবলী তার দেওয়া স্ট্যাটাসে লিখলেন, কিছু কিছু ভাইয়া আপুরা অনুগ্রহ করে কিছু না জেনে কারো চালাকি প্ররোচনায় পড়ে আজেবাজে, ভুয়া, নোংরা ভিডিও বানানো, কমেন্ট করা এবং ট্যাগ করা বন্ধ করুন বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে । বাবা শাকিব খান তার সব সন্তানদের ভীষন ভালোবাসেন , সময় দেন,  শুধু শুধু সন্তানদের মধ্যে বিভাজন করবেন না এবং হিংসাত্মক মনোভাব ছড়াবেন না ।

বুবলী আরও লেখেন, সব বাবা মায়ের মতো আমরাও আমাদের সর্বোচ্চ টা দিয়ে আমাদের সন্তান কে ভালো রাখতে চাই কারণ পরিবারের বন্ধন সবচেয়ে সুন্দর এবং শক্তিশালী। বাচ্চা রা বড় হচ্ছে , তাদের কে নেগেটিভিটি থেকে দূরে রাখুন প্লিজ।

পরিশেষে ব্যাকেটবন্দি করে বুবলী লেখেন,  কিছুদিন আগের জন্মদিনের এই সুন্দর মুহূর্তের মতোই ঈদ ও শেহজাদ তার বাবা মা সহ পুরো পরিবারের সাথেই আনন্দ করে কাটিয়েছে। এই ভালোবাসা প্রতিদিনের,  ঠিক স্পেশাল দিন গুলোর মতোই।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব বল

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ কিশোরের মৃত্যু, বিএনপির প্রতিবাদ

চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ এক কিশোর মোহাম্মদ আরিফের (১৫) মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তাকে ছাত্রদল কর্মী উল্লেখ করে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।

গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিটি করপোরেশন ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের হাটহাজারী থানার সন্দ্বীপ কলোনি এলাকায় গুলিতে আহত হয় আরিফ। সে ওই এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে এবং কলোনি ইউনিট ছাত্রদলের একজন কর্মী ছিল। এ ঘটনার জন্য নিহত কিশোরের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন ‘সন্ত্রাসী’ মোহাম্মদ সুমন ও তাঁর ভাই ভুট্টো জড়িত বলে অভিযোগ করে তাঁদের বিচার দাবি করছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্দ্বীপ কলোনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘ভুট্টো-সুমন’ ও ‘সাখাওয়াত’ নামে দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সুমন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড শাখার সভাপতি এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। সাখাওয়াত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হিসেবে পরিচিত। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর সুমন গ্রেপ্তার হলেও আবার জামিনে বেরিয়ে আসেন। এরপর সন্দ্বীপ কলোনির পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসীকে নিরাপদ আশ্রয় দেন সুমন। যাতে পাহাড়ি খাসজায়গা তাঁর দখলে থাকে। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর সুমন ও তাঁর বাহিনীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় একটি রাজনৈতিক দল।

রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সশস্ত্র লোকজন নিয়ে কলোনিতে আসেন সুমন। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁদের ধাওয়া দেন স্থানীয় লোকজন। ওই সময় ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে তাঁরা পালিয়ে যান। এর মধ্যে একটি গুলি এসে লাগে আরিফের পেটে। পরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পর কলোনিতে সুমনের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ ঘটনায় ব্যবহৃত একটি অটোরিকশা উদ্ধার করে।

নিহত আরিফের বড় ভাই আলাউদ্দিন তাঁর ভাইকে গুলি করে মারার পেছনে সুমনকে দায়ী করে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস নিহত আরিফকে ছাত্রদল কর্মী উল্লেখ করে হত্যার বিচার দাবি করেন। সন্দ্বীপ কলোনি এলাকায় সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান প্রশাসনের কাছে।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী অঞ্চল) কাজী মো. তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, গুলিবিদ্ধ আরিফ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ