হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চিত্রনায়িকা তানিন সুবহা মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৭ মিনিটে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন নায়িকার ছোট ভাই ইনজামুল রামিম।  

আরও পড়ুনখুলে নেওয়া হতে পারে চিত্রনায়িকা সুবাহর লাইফ সাপোর্ট, অপেক্ষা স্বামীর সিদ্ধান্তের০৯ জুন ২০২৫

২ জুন থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তানিন সুবহা। আগেই তাঁকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য সুবহার স্বামীর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন চিকিৎসকেরা। স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে আজ মঙ্গলবার রাতে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয় বলে জানিয়েছে অভিনেত্রীর পরিবার।

তানিন সুবহার ছোট ভাই ইনজামুল রামিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপুকে আমাদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর নিয়ে যাব। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।’

তানিন সুবহা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় মরা গরুর মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ২, জরিমানা 

খুলনায় বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা ৪ মণ ৩০ কেজি মরা গরুর মাংসসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার নগরীর গল্লামারী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে পুলিশ একটি পিকআপ জব্দ করে। 

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার আব্দুল লতিফের ছেলে মো. মমিন এবং সোনাডাঙ্গা মডেল থানার বাসিন্দা সোহেল হাওলাদারের ছেলে তামিম হাওলাদার। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘পুলিশের একটি টিম গল্লামারী এমএ বারী সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী করছিল। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একটি পিকআপ বারী সড়কে প্রবেশ করলে সন্দেহবশত চালক মো. মমিনকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, গাড়িতে ৪ মণ ৩০ কেজি গরুর মাংস রয়েছে। মাংস সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল আমিন এলাকার বাসিন্দা তামিমের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা থেকে আনা হয়েছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘এরপর ঘটনাস্থলে ডেকে নেওয়া হয় তামিমকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মাংসের প্রকৃত মালিকের নাম ও ঠিকানা পুলিশের কাছে জানায় সে। পুলিশ মাংসের প্রকৃত মালিক চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর উপজেলার সাহারেজ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে। এ সময়ে তিনি পুলিশকে জনান, বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় গরুটি স্ট্রোক করলে জবাই করা হয় এবং ৬৩ হাজার টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হয়। রাত ৩টার দিকে গরুর মাংস পিকআপে করে খুলনার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়।’’ 

জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, উল্লেখিত আসামিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগাক্রান্ত এবং মৃত গরুর মাংস সংগ্রহ করে খুলনা মহানগরের বিভিন্ন হোটেলে সরবারাহ করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে খাদ্য নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। জব্দ হওয়া মাংস পরীক্ষার জন্য ১ কেজি রাখা হয়েছে। বাকী অংশ আদালতের নির্দেশে ধব্বংস করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অপর দিকে, খুলনার কয়রা উপজেলা সদরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত একজন পঁচা মাংস বিক্রেতাকে আটক করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একই সঙ্গে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জব্দকৃত মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।

নূরুজ্জামান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ