পাবনার ঈশ্বরদীতে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে দাশুড়িয়া-কুষ্টিয়া মহাসড়কে সলিমপুর ইউনিয়নের মুন্নার মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন লিচু বিক্রেতা ঈশ্বরদীর মিরকামারী মুন্নার মোড় এলাকার আনিসুর রহমান (৫৫), নাটোর সদর উপজেলার মফিজুল ইসলামের স্ত্রী সুবর্ণা খাতুন (৪৫) ও মেয়ে পূর্ণতা (৮)। এ ঘটনায় মফিজুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য।

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন লিচুর মৌসুম। বাগান থেকে লিচু নিয়ে বিক্রির জন্য অনেকে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকেন। দূরদূরান্তের যাত্রীরা এসব লিচু কিনে নেন। আজ সকাল সাতটার দিকে আনিসুর রহমান তাঁর বাগানের কিছু লিচু নিয়ে বিক্রির জন্য মহাসড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় কুষ্টিয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে স্ত্রী–সন্তান নিয়ে ফিরছিলেন মফিজুল ইসলাম। তিনি মোটরসাইকেল থামিয়ে লিচু দরদাম করছিলেন। এ সময় একটি কাভার্ড ভ্যান এসে তাঁদের চাপা দেয়।

ঘটনাস্থালেই লিচু বিক্রেতা আনিসুর রহমান এবং মফিজুল ইসলামের স্ত্রী ও মেয়ে নিহত হন। মফিজুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করে পাকশী হাইওয়ে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশফিকুর রহমান বলেন, তিনজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আহত ব্যক্তির চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কাভার্ড ভ্যানটি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ