যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে লন্ডন সফররত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের সময়সূচি নিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আমাদের তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বর্তমানে কানাডায় রয়েছেন। আজ এক ব্রিটিশ এমপি আমাদের এ তথ্য দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, কিয়ার স্টারমার সম্ভবত কানাডায় আছেন। তার সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে কাজ হচ্ছে। যদি সময়সূচি মিলে যায় তবে বৈঠক হবে। দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠকের জন্য সময়সূচি সমন্বয়ের চেষ্টা চলছে।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, লন্ডনে পৌঁছানোর পর অধ্যাপক ইউনূস দুপুর ১২টায় ইউরোপীয় বিমান সংস্থা এয়ারবাসের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ওউটার ভ্যান ভার্শ এবং সাড়ে ১২টায় স্কটল্যান্ডভিত্তিক মেনজিস এভিয়েশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ওয়াইলির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আমরা বাংলাদেশের তৃতীয় টার্মিনাল কার্যকর করার চেষ্টা করছি। তাই সেখানে গ্রাউন্ড সার্ভিস পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এই প্রেক্ষাপটে মেনজিসের সঙ্গে বৈঠক হয়।

প্রেস সচিব জানান, এরপর দুপুর ২টায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক, আপসানা বেগমসহ অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজে) সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস। তবে সে বৈঠকে টিউলিপ সিদ্দিক ছিলেন না। বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর, সংস্কার কমিশনের অগ্রগতি এবং আসন্ন জুলাই চার্টার নিয়ে আলোচনা হয়।

গত সোমবার (৯ জুন) চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্যে যান প্রধান উপদেষ্টা। ১০ জুন লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটায় হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে যান।

এর আগে ৪ জুন পররাষ্ট্র বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী জানান, লন্ডন সফরে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন এবং কিং চার্লস তৃতীয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ করবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর জ য সময়স চ ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।

২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।

ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
  • ট্রাম্প কি রাজার শাসন চালাচ্ছেন