আমার জীবনে সত্যিকারের বন্ধুত্ব ছোটবেলাতেই হয়েছে, যখন আমাদের বয়স ছিল ১০ বছর। কোনো বন্ধু ছিল আমার প্রতিবেশী, একই এলাকায় বেড়ে উঠেছি। কোনো বন্ধুর সঙ্গে স্কুলে পরিচয়, কোনো বন্ধুর সঙ্গে কলেজে। আমাদের বাবা-মায়েদের মধ্যেও বন্ধুত্ব ছিল। এই স্কুল-কলেজের বন্ধুগুলোই পরে আমার জীবনে বন্ধুর চেয়ে আরও বড় কিছু হয়ে ওঠে। আমাদের ৪০ জনের মতো বন্ধুর যে গ্রুপ, সেটার শুরু সেই আদমজী স্কুল আর শাহিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। আমাদের বেশির ভাগেরই ক্যান্টনমেন্টে বেড়ে ওঠা। বিশাল সেই বন্ধু দলের মধ্যে ক্ষুদ্র যে দল, সেখানে আমার সঙ্গে ছিল দুই বন্ধু আব্দুল্লাহ হিল রাকিব ও সাইফুজ্জামান। রাকিব ছিল আমার প্রতিবেশী। সাইফুজ্জামানের সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। বন্ধুত্বের সেই সীমা পেরিয়ে কবে তারা যেন আমার ভাইয়ের জায়গা দখল করে নেয়।
আরও পড়ুনআত্মীয় বা বন্ধুর সঙ্গে বহুদিন যোগাযোগ নেই? যেভাবে আবার সম্পর্ক গড়ে তুলবেন ১৮ জুন ২০২৪সস্ত্রীক ৩ বন্ধু। ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন।
দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত। তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা