আমার জীবনে সত্যিকারের বন্ধুত্ব ছোটবেলাতেই হয়েছে, যখন আমাদের বয়স ছিল ১০ বছর। কোনো বন্ধু ছিল আমার প্রতিবেশী, একই এলাকায় বেড়ে উঠেছি। কোনো বন্ধুর সঙ্গে স্কুলে পরিচয়, কোনো বন্ধুর সঙ্গে কলেজে। আমাদের বাবা-মায়েদের মধ্যেও বন্ধুত্ব ছিল। এই স্কুল-কলেজের বন্ধুগুলোই পরে আমার জীবনে বন্ধুর চেয়ে আরও বড় কিছু হয়ে ওঠে। আমাদের ৪০ জনের মতো বন্ধুর যে গ্রুপ, সেটার শুরু সেই আদমজী স্কুল আর শাহিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। আমাদের বেশির ভাগেরই ক্যান্টনমেন্টে বেড়ে ওঠা। বিশাল সেই বন্ধু দলের মধ্যে ক্ষুদ্র যে দল, সেখানে আমার সঙ্গে ছিল দুই বন্ধু আব্দুল্লাহ হিল রাকিব ও সাইফুজ্জামান। রাকিব ছিল আমার প্রতিবেশী। সাইফুজ্জামানের সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। বন্ধুত্বের সেই সীমা পেরিয়ে কবে তারা যেন আমার ভাইয়ের জায়গা দখল করে নেয়।
আরও পড়ুনআত্মীয় বা বন্ধুর সঙ্গে বহুদিন যোগাযোগ নেই? যেভাবে আবার সম্পর্ক গড়ে তুলবেন ১৮ জুন ২০২৪সস্ত্রীক ৩ বন্ধু। ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মিরপুরে ‘মবের শিকার’ পুলিশ কর্মকর্তা
রাজধানীর মিরপুরে বাজার করতে গিয়ে ‘মবের শিকার’ হয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক মাসুদুর রহমান। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনার সময় তাকে মারধর করা হয়। সেইসঙ্গে টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে দাবি করা হয় মোটা অঙ্কের চাঁদা। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মিরপুর থানার ওসি সাজ্জাদ রুমন সমকালকে বলেন, সকালে মিরপুর–৬ নম্বর কাঁচাবাজারে মবের শিকার হন এক পুলিশ কর্মকর্তা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার করে। ঘটনাস্থল পল্লবী থানার আওতায় হওয়ায় পরে তাদের সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মাসুদুর রহমান ২০১৭ সালের আগে পুলিশের মিরপুর বিভাগের বিভিন্ন থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই কারণে তাকে স্থানীয় লোকজন চেনেন। পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনি রাজবাড়ীর দুটি থানায় ওসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তিনি এখন ফরিদপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত।
গতকাল সকাল ১১টার দিকে তিনি মিরপুরে বাজার করতে গেলে স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০–১৫ জন নেতাকর্মী তাকে ঘিরে ফেলেন। ওই সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ নিয়ে হট্টগোলের মধ্যে সেখানে পৌঁছায় পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে পল্লবী থানার ওসি শফিউল আলমের মোবাইল ফোন কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।