সীতাকুণ্ডে রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
Published: 11th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির (৪৩) লাশ উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে রেল পুলিশের ফৌজদারহাট ফাঁড়ির সদস্যরা উপজেলার সোনাইছড়ি এলাকার আবুল খায়ের স্টিল মিল–সংলগ্ন রেললাইন থেকে লাশটি উদ্ধার করেন।
রেল পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের জন্য ওই ব্যক্তির লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা আঙুলের ছাপ নিয়েছেন।
ফৌজদারহাট রেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস মিত্র প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই ব্যক্তির লাশ ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী দুটি রেললাইনের মাঝখানে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাঁদের খবর দেন। পরে তিনি গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করেন। এরপর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তাপস মিত্র আরও বলেন, ওই ব্যক্তি ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছেন। তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য পিবিআইয়ের বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা আঙুলের ছাপ নিয়েছেন। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’