সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়িতে হামলার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন প্রত্বতত্ত্ব অধিদপ্তর। বুধবার (১১ জুন) বিকেলে কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ কামাল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কাছারি বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। আগামী ৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাদের।

গত ৮ জুন প্রবাসী শাহনেওয়াজ নামের এক ব্যক্তি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাছারি বাড়ি পরিদর্শনে যান। সেখানে মোটরসাইকেল পার্কিং ফি নিয়ে গেটের এক কর্মচারীর সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ওই দর্শনার্থীকে অফিস কক্ষে আটকে রেখে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা জানাজানি হলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। তারা গত ১০ জুন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল থেকে একদল লোক কাছারি বাড়ির অডিটোরিয়ামে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরো পড়ুন:

ইবিতে অন্যের ভরসায় চলছে তদন্ত প্রক্রিয়া 

সাবেক উপাচার্যের দুর্নীতি তদন্তে অসহযোগিতা রাবি প্রশাসনের

শাহজাদপুর থানার ওসি আছলাম আলী জানান, কবিগুরু বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও স্টাফদের মারধরের ঘটনায় কাস্টোডিয়ান বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চলাচ্ছে।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.

কামরুজ্জামান বলেন, ‍“সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) শেখ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল কবিগুরুর কাছারি বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। তারা কাছারি বাড়ির কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমানকে বাদী করে মামলা দায়ের করেছেন।”

ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন সদস য তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ