বন্দরে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদক, ধারালো অস্ত্রসহ আটক ২
Published: 11th, June 2025 GMT
বন্দরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য, ধারালো অস্ত্রসহ দুজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। মঙ্গলবার (১০ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার নবীগঞ্জ রসুলবাগ এলাকার মাদক ব্যবসায়ী গাজীর বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ১০০ পিস ইয়াবা, ২ পুরিয়া হেরোইন, বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র ও ২৫ পিস মোবাইল জব্দ করা হয়। এসময় মাদক ব্যবসায়ী গাজীর মেয়ে লিজা ও ভাতিজা বাবুকে আটক করা হয়। এর আগে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী গাজী পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করেন। আটক দুইজন বর্তমানে আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
হামলায় ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা
ইরানে চালানো হামলায় ইসরায়েলের মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল রাজধানী তেহরান ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থিত পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা। হামলার আগেই রেকর্ড করে রাখা একটি ভিডিও বার্তায় এ কথা বলে ইরানে হামলার কথা নিশ্চিত করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ওই ভিডিও বার্তায় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, এই অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানাগুলো ধ্বংস করা। এই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে, কারণ ইসরায়েলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই এখন প্রধান লক্ষ্য।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, তেহরানের আবাসিক এলাকাতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
এ ঘটনায় হতাহতের মধ্যে শিশুরাও আছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ বলেছেন, ইরান থেকে শিগগিরই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বাজিয়ে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে এবং ভোর ৩টা থেকে জরুরি কার্যক্রম ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনসমাগম এবং অধিকাংশ কর্মস্থল বন্ধ থাকবে। দেশটির বিমান চলাচলও সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ইরানের স্থানীয় সংবাদ সংস্থার বরাতে আল–জাজিরা জানিয়েছে, শহরজুড়ে ইসরায়েলি হামলার পর তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠা-নামা স্থগিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ইরানে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সম্পৃক্ত নয়। ওয়াশিংটনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো ওই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
অবশ্য হামলার আগে গত বুধবার ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পারমাণবিক আলোচনা ভেঙে পড়লে এবং যুদ্ধ শুরু হলে, আমাদের লক্ষ্য হবে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত সব মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। প্রয়োজনে আমরা এগুলোতে সরাসরি আঘাত করব।