রাঙামাটির কাপ্তাই থানা থেকে চুরির মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছেন। বুধবার (১১ জুন) সকাল ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই থানার ওসি (তদন্ত) অলি উল্লাহ।

পালিয়ে যাওয়া ওই আসামির নাম সাগর।

ওসি (তদন্ত) অলি উল্লাহ বলেন, ‍“বুধবার ভোরে সাগরকে আমরা কাপ্তাই নতুনবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনি। তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ ও টাকা চুরির অভিযোগ রয়েছে। সকাল ৯টার দিকে থানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যান তিনি। তাকে ধরতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি।”

আরো পড়ুন:

রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা

দেশবিরোধী প্রচারণার অভিযোগ: ৬ আসামি রিমান্ড শেষে কারাগারে

কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, “চুরির মালামালসহ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছিলাম আমরা। আমাদের পুলিশ সদস্যদের অবহেলায় আসামি থানা থেকে কৌশলে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।” 

রাঙামাটির পুলিশ সুপার ড.

এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।”

ঢাকা/শংকর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আস ম

এছাড়াও পড়ুন:

কারও ওপর আক্রমণ হলে যৌথভাবে জবাব দেবে পাকিস্তান ও সৌদি আরব

পাকিস্তান ও সৌদি আরব ‘কৌশলগত যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি’ সই করেছে। বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ চুক্তি সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে রিয়াদ ও ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রিয়াদের ইয়ামামা প্রাসাদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠক হয়। সেখানে দুই নেতা চুক্তিতে সই করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ জোরদার করার লক্ষ্যে দুই দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নিজেদের সুরক্ষিত করা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি অর্জনের জন্য উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে এই চুক্তিতে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে ‘প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব...ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামি সংহতির বন্ধন...অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার’ ভিত্তিতে এ চুক্তি সই করা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলেছে, দু্ই পক্ষ ও তাদের প্রতিনিধিদল উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছে। একই সঙ্গে দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।

এর আগে সৌদি আরব সফররত শাহবাজ শরিফ ইয়ামামা প্রাসাদে পৌঁছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান সৌদি যুবরাজ। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ