লন্ডনে ড. ইউনূসকে স্বাগত, ছিল বিক্ষোভও
Published: 11th, June 2025 GMT
চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্য গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। পরে হোটেলে পৌঁছালে সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের একদল নেতাকর্মী এ সময় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। আর ইউরোপীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি পরিচয়ে কাজ করা চারটি সংগঠন যৌথভাবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
ড.
ইউনূসকে স্বাগত জানান প্রবাসীরা
হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ড. ইউনূস সরাসরি লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে যান। এ সময় তাঁকে স্বাগত জানাতে হোটেলের সামনে জড়ো হন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা হোটেলের সামনে তাঁর পক্ষে স্লাগান দেন। এ সময় অনেকের হাতে জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ব্যানার দেখা যায়। সমাবেশে অনেকের মধ্যে ছিলেন জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা, ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন খালেদ, খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা সালেহ আহমদ প্রমুখ।
ছিল বিক্ষোভও
ডরচেস্টার হোটেলের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও এতে অংশ নেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি রণজিত সরকার, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহাসহ বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-এমপি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে ইউরোপীয় নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্যের ইবিএফ কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক পাওলো কাসাকা, বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ জার্মানির ব্রাসেলস ক্লাউস স্ট্রেম্পেল, তুরস্কের আর্থ সিভিলাইজেশন নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়কারী তারিক গুনেরসেলের লেখা একটি চিঠি দেওয়া হয় গত ৯ জুন। তাতে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার-আটক, হয়রানি, ধর্মনিরপেক্ষ প্রতীকগুলো লক্ষ্যবস্তু করা, ১ হাজার ৫০০টিরও বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য ভাঙা, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর জাদুঘর ভেঙে ফেলা, বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধাদের কারাগারে পাঠানোর কথা বলা হয়।
চিঠিতে স্টারমারকে বলা হয়, ড. ইউনূসের সঙ্গে আপনার বা আন্তর্জাতিক নেতাদের যোগাযোগ এমন একটি শাসনব্যবস্থাকে বৈধতা দেবে, যারা দৃশ্যত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ থেকে সরে যাচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড ইউন স য ক তর জ য স ব গত মন ত র ইউন স ধ নমন আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
মোবাইলে অতিরিক্ত চার্জ দিলে যে ক্ষতি
গুগলের পণ্য ব্যবস্থাপক রোনাল্ড হো একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘মোবাইলে অতিরিক্ত বা ঘন ঘন চার্জ দেওয়া খারাপ।’’ সাধারণত মোবাইল ফোনের ব্যাটারিতে চার্জ দেয়ার জন্য চার্জার পোর্ট থাকে যেখানে পিন প্রবেশ করানো হয়। যদি অপ্রয়োজনে ঘন ঘন চার্জ দেওয়া তাহলে ব্যাটারির ক্ষতির আগে চার্জিং পয়েন্ট নষ্ট হয়ে যায়।
বর্তমানে মোবাইল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাটারি ও চার্জিং অপ্টিমাইজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এই ডিভাইস ফোনের ব্যাটারির চার্জ যখন শতভাগ হয়ে গেলে অভ্যন্তরীণ ব্যাটারি চার্জার অতিরিক্ত চার্জ হওয়া ঠেকিয়ে দেয়। কারণ ফোনের ব্যাটারিগুলো চার্জারের কাছ থেকে শতভাগ চার্জ হওয়ার আগেই বার্তা পেয়ে যায়।
কিন্তু অধিকাংশ স্মার্টফোন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান একটি বিষয়ে একমত যে- কোনো স্মার্টফোন ব্যবহার না করে যদি সংরক্ষণ করেন তাহলে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত চার্জ রাখা উচিত। এ থেকেই বোঝা যায়, স্মার্টফোনের ব্যাটারি শতভাগ চার্জ রাখতে পছন্দ করে না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ থাকলে মোবাইল বেশি দিন টেকে। তাই স্মার্টফোনের চার্জ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে এ সীমার মধ্যে চার্জ রাখার জন্য বলে অধিকাংশ স্মার্টফোন নির্মাতা।
আরো পড়ুন:
জীবনে ‘অ্যাটেনশন স্প্যান’ কীভাবে বাড়াবেন
হজমশক্তি বাড়ানোর ৯ উপায়
অপরদিকে, DOD (Depth Of Discharge) ক্যাপাসিটির বাইরে চার্জ খরচ করলে মোবাইল ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনার মোবাইলের ব্যাটারির চার্জের পার্সেন্টেজ ২০% থেকে ৫০% এর মধ্যে থাকলেই চার্জে লাগিয়ে দেবার চেষ্টা করবেন। একেবারে পাওয়ার অফ হওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে যাবেন না।
আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন: স্মার্টফোনের ব্যাটারির সবচেয়ে বড় শত্রু অতিরিক্ত তাপমাত্রা। বেশি তাপমাত্রায় স্মার্টফোনের ব্যাটারি কমতে শুরু করে। সেজন্য সরাসরি স্মার্টফোন রোদে রাখা ঠিক নয়। অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত গরমে ফোন বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। ৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার ওপরে গেলেই ব্যাটারির কার্যকারিতা কমতে শুরু করে।
মোবাইলের ব্যাটারী চার্জের নিরাপদ সীমা: নিজের ডিভাইসের সঙ্গে দেওয়া চার্জার ও কেবল ব্যবহারই সবচেয়ে নিরাপদ। মোবাইল ব্যাটারির সর্বোচ্চ ডিসচার্জিং ক্যাপাসিটি যা বেশিরভাগ মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে ৫০% এবং উন্নত মোবাইলে ক্ষেত্রে ৮০% থাকে।
ঢাকা/লিপি