বরগুনায় ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২, আক্রান্ত ১৫শ ছাড়াল
Published: 12th, June 2025 GMT
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৫ দিনে ডেঙ্গুতে ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২ জনে।
বুধবার (১১ জুন) রাত ৮টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে সদরের থানা পাড়া এলাকার গোসাই দাস (৫৮) নামে একজন মারা যান। এর আগে হাসপাতালে এদিন দুপুর ১২টার দিকে চান মিয়া নামে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধ মারা যান। চান মিয়া বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাজকিয়া সিদ্দিকাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৭৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫শ ছাড়াল। বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৭২ জন। এরমধ্যে ৩১ জনই শিশু।
ঢাকা/ইমরান/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’