করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আবারও করোনার বিশেষায়িত চিকিৎসা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ১৮টি শয্যার মধ্যে কেবল ১টি আইসিইউ শয্যার ভেন্টিলেটর সচল রয়েছে।

২০২০ সালে করোনা মহামারির শুরুতে আইসিইউ শয্যার অভাবে অনেক রোগী সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান। এরপর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে বিশেষায়িত করোনা চিকিৎসার জন্য ১০টি আইসিইউ শয্যা স্থাপন করা হয়। পরে সংখ্যা বাড়িয়ে ১৮টি করা হয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশির ভাগ শয্যা ও যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যায়।

ধুলা জমে গেছে অক্সিজেন সিলিন্ডারে। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লায় জেনারেল হাসপাতালে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আলীকদমে স্রোতে ভেসে যাওয়া আরেক পর্যটকের লাশ উদ্ধার

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় বেড়াতে গিয়ে স্রোতে ভেসে যাওয়া আরেক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া পর্যটকের নাম স্মৃতি ইসলাম। 
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার তৈনখালের আমতলী নৌঘাট এলাকা থেকে স্মৃতি ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট দুই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জুবাইরুল ইসলাম নামে অপর পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে ট্যুর গ্রুপের সহসমন্বয়ক মো. হাসান চৌধুরী। 

আলীকদম থানার এসআই শাহাদাৎ হোসাইন বলেন, শুক্রবার সকালে তৈনখালের আমতলী নৌঘাট এলাকায় লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে গিয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। লাশ বুঝে নিতে নারী পর্যটকের স্বজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। 

নাম না প্রকাশের শর্তে আলীকদম উপজেলার কয়েকজন গাইড জানান, ৯ জুন ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ নামে ৩৩ জনের একটি পর্যটক দল দু’জন গাইড নিয়ে থানচি-আলীকদমের মাঝখানে ক্রিসতং পাহাড়ে বেড়াতে যায়। দলের নেতৃত্বে ছিলেন বর্ষা নামে এক নারী ট্যুর অপারেটর। সহসমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন হাসান চৌধুরী। ৩৩ সদস্যের এই দলটির গন্তব্য ছিল আলীকদমের ক্রিসতং পাহাড় এবং থানচির সাকাহাফং পাহাড়ের চূড়া। 

দলটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যাত্রা করে। একটিতে ২২, অন্যটিতে ১১ জন সদস্য ছিলেন। একটি পাহাড়ি ঝিরি পার হতে গিয়ে ২২ সদস্যের দলের দুই পর্যটক ও এক ট্যুর অপারেটর প্রবল স্রোতে ভেসে যান। তার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম বলেন, উদ্ধার হওয়া দুই পর্যটকের মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আত্মীয়স্বজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ