রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির গেট থেকে ফিরে গেলেন স্ত্রীসহ চিত্রনায়ক উজ্জ্বল
Published: 12th, June 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়িতে ঢুকতে পারেনি চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ (উজ্জ্বল)। স্ত্রীকে নিয়ে কাছারি বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে ফেটোসেশন করে ফিরে গেছেন তিনি।
ঈদের ছুটিতে প্রবাসী শাহনেওয়াজ নামের এক দর্শনার্থীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার পর বুধবার (১১ জুন) সকাল থেকে কাছারি বাড়িতে অনির্দিষ্টকালের জন্য দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম জানান, চিত্রনায়ক উজ্জ্বল ও তার স্ত্রী গত ১১ জুন (বুধবার) বিকেলে কাছারি বাড়িতে এসেছিলেন। চিত্র নায়কের উপস্থিতিতে কাছারি বাড়ির গেটে ভক্তের সমাগম ঘটে। পরে কাছারি বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে স্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলে পাবনার উদ্দেশ্যে রওনা হন নায়ক উজ্জ্বল।
রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমান বলেন, “ঈদের সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাছারি বাড়িতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসেন অনেকেই। কিন্তু এবার কোরবানি ঈদের পরেরদিন হঠাৎ একটি অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে ১১ জুন বিকেলে চিত্র নায়ক উজ্জ্বল ও তার স্ত্রী কাছারি বাড়ির সামনে থেকে ফটোসেশন করে চলে গেছেন।”
রবিবার (৮ জুন) বিকেলে স্থানীয় শাহনেওয়াজ নামের এক দর্শনার্থী তার স্ত্রী ও ভাতিজাকে নিয়ে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে বেড়াতে যান। এসময় ওই দর্শনার্থীর প্রবেশমূল্য নিয়ে নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দর্শনার্থী থানায় অভিযোগ করেন। গত ১০ জুন দুপুরে শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে শাহনেওয়াজের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মিছিল শেষে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে ৫০-৬০ জন বিক্ষুব্ধ জনতা প্রবেশ করে কাস্টডিয়ানের অফিস, লাইব্রেরি ও অডিটোরিয়ামের জানালা-দরজা ভাঙচুর।
এ ঘটনায় বুধবার (১১ জুন) শাহজাদপুর পৌর শহরের রূপপুর মহল্লার শাহনেওয়াজকে প্রধান আসামি করে তার ভাই সবুজ, হান্নান ও সুমনসহ ১২ জনের নামে মামলা করেন কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমান। এ মামলায় নাম না জানা ৫০-৬০ জন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এ দিকে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরমান হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন শাহজাদপুর সার্কেলের এএসপি কামরুজ্জামান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুশফিকুর রহমান।
শাহজাদপুর থানার (ওসি-অপারেশন) আবু সাঈদ জানান, হামলার ঘটনায় (সিসিটিভির) ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার সাথে জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রব ন দ র ক ছ র প রব শ র স মন ১১ জ ন র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’